নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায় ১২ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. রুহুল আমিন নামে পুলিশের এক কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার মো. রুহুল আমিন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি ট্রাফিক ডিভিশনে কর্মরত আছেন।
মঙ্গলবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার পর দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, ধর্ষণের ঘটনাটি বন্দর এলাকার ভাড়া বাড়িতে ঘটেছে। সোমবার সন্ধ্যায় শহরের চাষাড়া থেকে ওই কনস্টেবল আটক হন। তার সঙ্গে শিশুটিও ছিল। পরে রাত ১টার দিকে অভিযুক্তকে সদর মডেল থানা পুলিশ বন্দর থানায় হস্তান্তর করে। ভুক্তভোগী শিশুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন
শিশুটির বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। সে ঢাকার কলাবাগানে একটি বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো। সকালে তার চাচা ধর্ষণের অভিযোগে বন্দর থানায় মামলা করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার এজাহার ও প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে ওসি লিয়াকত বলেন, সোমবার দুপুরে কলাবাগান পুলিশ বক্সের সামনে কান্না করছিল শিশুটি। ওই সময় পুলিশ বক্সে দায়িত্বরত ছিলেন অভিযুক্ত কনস্টেবল রুহুল আমিন। তিনি শিশুটিকে নিয়ে বন্দরের ফ্ল্যাটে আসেন এবং সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে শিশুটিকে নিয়ে ঢাকার দিকে আবারও যাওয়ার সময় চাষাড়ায় শিশুটি কান্নাকাটি করলে লোকজনের সন্দেহ হয় এবং পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
ধর্ষণের মামলায় ওই পুলিশ কনস্টেবলকে আদালতের নির্দেশে দুপুরে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।