আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বছরব্যাপী সুদানী গৃহযুদ্ধের সবচেয়ে জঘন্যতম নৃশংসতার বিশদ বিবরণ উঠে এসেছে নতুন সাক্ষ্যে। সাক্ষীরা জানিয়েছেন, গত গ্রীষ্মে দারফুরে জাতিগত তাণ্ডব থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় বেসামরিক নাগরিকদের ব্যাপক হারে হত্যা করা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গত বছরের জুন মাসে জাতিগত সহিংসতার সময় আঞ্চলিক রাজধানী এল জেনেইনা থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিল বহু মানুষ। ওই সময় জীবিত শিশুদের জড়ো করে আধা-সামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গুলি করে হত্যা করেছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সংগৃহীত ২২১ সাক্ষীর বিবৃতি সর্বশেষ প্রমাণ দেয় যে, আরব নেতৃত্বাধীন আরএসএফ পশ্চিম দারফুরে সুদানের অনারব মাসালিত উপজাতিকে জাতিগতভাবে নির্মূলের জন্য ১২ মাসের সম্মিলিত অভিযান পরিচালনা করেছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, জাতিসংঘ এবং আফ্রিকান ইউনিয়নের উচিত অবিলম্বে সুদানের উপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য দেশটির পশ্চিমে বিস্তৃত অঞ্চল দারফুরে একটি শক্তিশালী পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা।
বুধবার প্রকাশিত হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন পশ্চিম দারফুর আরএসএফ কমান্ডার আবদেল রহমান জোমা’আ বারাকাল্লাহ, আরএসএফ-এর কুখ্যাত কমান্ডার মোহাম্মদ ‘হেমেদতি’ হামদান দাগালো এবং তার ভাই আবদেলসহ ব্যাপক যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ীদের ওপর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সমস্ত সীমা অতিক্রম করলো এই ওয়েব সিরিজ, ভুলেও বাচ্চাদের সামনে দেখবেন না
২০২৩ সালের এপ্রিলে আরএসএফ এবং সুদানের সেনাবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ৮০ লাখের বেশি মানুষ মানবিক সংকটের মধ্যে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, এটি কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।