লাইফস্টাইল ডেস্ক : শিশুদের জেদ কিংবা গো ধরার অভ্যাস নতুন কিছু নয়। দেখা যায় অনেক বাবা-মা এই সাধারণ সমস্যাকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। আবার অনেক বাবা-মা শিশুর অহেতুক জেদের ব্যাপারে কি করবেন তার দিশা খুঁজে পান না। অবশ্যই এটি একটি বড় সমস্যা। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, অল্প বয়সে শিশুর জেদ নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে ভবিষ্যতে এই সমস্যা আরও বড় আকার ধারণ করতে পারে।
সচরাচর শিশুরা আবদার করে। যখন তাদের আবদার দ্রুত পূরণ করা হয় তখন একসময় বায়না পূরণে দেরি হলেই তারা জেদ দেখাতে শুরু করে। অনেক সময় আশপাশের অনেকের আচরণ দেখেও শিশুরা জেদ করতে পারে।
* শিশুর সঙ্গে আচরণের ধরনে বদল আনতে হবে। যখনই দেখবেন তার জেদ ধরার মানসিকতা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যাচ্ছে তখনই তার সঙ্গে আলোচনা করুন। বায়না পূরণে দেরি হলে তাকে বিদ্যমান সমস্যা বোঝান।
* সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন। তাকে অনলাইন মাধ্যম বাদেও বই পড়া, ঘুরতে নিয়ে যাওয়া, তার সঙ্গে খেলাধুলা করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
* অভিভাবকদের দেখেও শিশুরা অনেক কিছু শেখে। মনে রাখবেন, আপনি নিজেও যদি রগচটা হন ও অল্পতেই জেদ করেন তাহলে তার প্রভাব আপনার সন্তানের ওপরও পড়বে। এমন বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। ভালো কাজগুলো তার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিন।
* শিশুরা জেদ করলে তাকে ধমক দেওয়া, গায়ে হাত তোলা কিংবা সমালোচনা করবেন না। হ্যাঁ, আপনি তাকে শাসন করুন তবে তা যেন মাত্রাতিরিক্ত হয়ে না ওঠে। শিশুকে শাসন করলে তাকে আবার আদর করবেন। এতে সে জেদ ধরে বসে থাকবে না।
* শপিংমল কিংবা বিনোদন কেন্দ্রে শিশুদের কম নিয়ে যাওয়াই ভাল। আজকাল এসব প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞাপনের চমকে শিশুরা সহজেই ভুলে যেতে পারে। এতে বরং তার জেদ কিংবা বায়না বাড়ে। কোথাও নিয়ে গেলে তাকে বারবার কাউন্সেলিং করবেন।
সাকিব টাকা-লুটপাট-জুয়া ছাড়া কিছুই বোঝে না : ব্যারিস্টার সুমন
* অনেক সময় অভিভাবক দুজনেই কাজ করায় শিশুর দিকে নজর দিতে পারেন না। এসব ক্ষেত্রে এক ধরণের অপরাধবোধ কাজ করাটা খুব স্বাভাবিক। তাই তারা ফেরার সময় শিশুর জন্য নানা উপহার নিয়ে আসেন। এমনটা না করাই ভালো। বরং তাকে যতটুকু সম্ভব সময় দিন।
* শিশুদের জেদ সংবরণ করতে দেখলে প্রশংসা করুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।