জুমবাংলা ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় মোখার পর কয়েক দিন ঝড়-বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও, জ্যৈষ্ঠের তীব্র গরমের সঙ্গে লোডশেডিংয়ে দেশের মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। বিরাজ করছে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া।
দেশজুড়ে তীব্র তাপদাহে জনজীবনে নাভিশ্বাস। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চরমে। এই পরিস্থিতিতে কোনো সুখবর দিতে পারেনি আবহাওয়া অফিস। বলছে, সহসা এই তাপদাহ কমার লক্ষণ নেই।
অসুস্থ হয়ে পড়ার মতো গরম চলবে আরও সাতদিন। অন্তত এই সাত দিনে বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। উল্টো ভবিষ্যতে দেশে এমন তাপদাহের স্থায়িত্ব আরও বাড়ার শঙ্কাও রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গেলো এক যুগ ধরেই ধীরে ধীরে পাল্টে গেছে আবহাওয়ার চরিত্র। লু হাওয়া বইবে। পাশাপাশি, আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চরমে উঠবে। মানুষের কষ্ট বাড়বে।
জ্যৈষ্ঠের এই সময়টায় গরম থাকলেও তা এতোটা দুঃসহ ছিলো না কখনও। এবার চিরপরিচিত জ্যৈষ্ঠ যেন তার চরিত্র হারিয়েছে। দীর্ঘ হচ্ছে তাপদাহ।
আগে জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ছিলো তাপদাহের সময়। আর এখন সূর্যের প্রখর তাপদাহ থাকছে কম বেশি অক্টোবর পর্যন্ত। এক যুগের তথ্য বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছে আবহাওয়া দপ্তর।
খোলা আকাশের নিচে তীব্র গরমে টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন কেউ কেউ। রোদ থেকে বাঁচতে কেউ ছাতা, রুমাল দিয়ে মাথা ঢাকার থাকার চেষ্টা করছেন।
তীব্র গরমে রিকশা, ভ্যান চালকদের বিড়ম্বনাটা সবচেয়ে বেশি। গরম ও লোডশেডিংয়ে বেশি কষ্টে আছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরাও।
নগরবাসী বলছেন, তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। তার ওপর একটু পর পর লোডশেডিং হচ্ছে। ফলে ঘরের ভেতরে থাকা যাচ্ছে না। আর বাহিরেও প্রচুর গরম। প্রচণ্ড গরমে খুবই অশান্তি বোধ হচ্ছে।
মোখার পর কয়েকদিন স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজেছিলো দেশ। কালবৈশাখী, শিলাবৃষ্টি, ঝড়-বৃষ্টির দাপটে অনেকটাই নেমেছিলো তাপমাত্রার পারদ! কিন্তু স্বস্তি বেশিদিন টিকলো না।
এবার জুনে স্বাভাবিকের চেয়েও বৃষ্টি কম হয়েছে। অসময়ে বৃষ্টি, অপরিকল্পিত নগরায়ন আর কার্বন নিঃসরণকেই এর কারণ বলা হচ্ছে।
প্রতি বছরই এখন দীর্ঘ মেয়াদি তাপদাহ চলবে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অফিস। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্যও কমে এসেছে।
রাতে চার থেকে সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বেশি থাকছে। তাই রাতেও স্বস্তি মিলছে না। জুন, জুলাই মাসে সব সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এবার সেই লক্ষণ নেই।
তাই তাপমাত্রা কমারও কোনো সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, এ বছর জুন মাসের প্রথম দুই দিনেই স্বাভাবিকের তুলনায় তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপদাহ রেকর্ড হয়েছে।
তিনি বলেন, বেশিরভাগ জায়গাতেই ৩৬-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। চলমান তাপপ্রবাহ আরও ৩-৪ দিন অব্যাহত থাকবে। এ সময় সেরকম কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
এই আবহওয়াবিদ আরও জানান, সাগরে একটি নিম্ন চাপে সৃষ্টি হলেও, সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই। জুনের মাঝামাঝিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।