আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে জলবায়ু সংকট মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে সুদের হার কমানোর আভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। ফলে দীর্ঘমেয়াদে স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। ইউরোপের সবচেয়ে বড় ব্যাংক এইচএসবিসির বিশ্লেষকরা এই পূর্বাভাস দিয়েছেন।
বাণিজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম কিটকোর এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, বর্তমানে ২০০০ ডলারের ওপরে রয়েছে স্বর্ণের দর। প্রতি আউন্সের মূল্য স্থির হয়েছে ২০৪৪ ডলারে। আগামী দিনে সেটা আরও বৃদ্ধি পাবে।
নেপথ্যে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার পাশাপাশি নতুন একটি উপাদানের কথা তুলে ধরেছেন এইচএসবিসির বিশ্লেষজ্ঞরা। সেটা হলো আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। যেটা বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং আর্থিক বাজারে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করছে।
চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ টানা ৩ বছরে গড়িয়েছে। এরই মধ্যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরু হয়েছে। তাতে মধ্যপ্রাচ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়েছে। ফলে গোটা বিশ্বে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ বছরে বিনিয়োগকারীদের কাছে স্বর্ণের আকর্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এইচএসবিসির বিশ্লেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান জলবায়ু সংকট ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়িয়েছে। তারা বলেন, গত মার্চে মালাউই ও মোজাম্বিকে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডি। মে মাসে পাকিস্তান ও মিয়ানমারে আছড়ে পড়ে মোচা। জুনে কানাডায় ছড়িয়ে পড়ে দাবানল। আগস্টে মাউই এ দুর্যোগের শিকার হয়। এতে অবকাঠামো, জ্বালানি ও পরিবহন ব্যবস্থার দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধন হয়েছে।
পণ্ডিতরা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস করতে পারে। স্বর্ণের দাম বাড়াতে তা সহায়তা করে। ২০৫০ সাল নাগাদ তাপমাত্রা ২ দশমিক ২ ডিগ্রি বৃদ্ধি পাবে। তাবে গ্লোবাল গ্রোথ ২০ শতাংশ কমবে।
তারা আরও বলেন, বিশ্বজুড়ে খাদ্য উৎপাদন কমছে। ফলে অভিবাসন সংকট বাড়ছে। আর্থিক বাজার অস্থিতিশীল রয়েছে। মূল্যস্ফীতি ক্রমবর্ধমান আছে। সেসব কারণে বুলিয়ন বাজার চাঙা থাকবে। স্বাভাবিকভাবেই স্বর্ণের দর চড়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।