আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সুইডেনে মুদ্রাস্ফীতির হার কমলেও কমেনি ব্যাংক সুদের হার। এতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আর ব্যাংক ঋণের বাড়তি টাকা পরিশোধ করতে হিমশিম অবস্থা স্থানীয়সহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের। ২০২৪ সালে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় চাকরি হারানোর শঙ্কায় বহু মানুষ।
ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ সুইডেন। করোনায় যখন বিশ্ব অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থা তখনো সুইডেনের অর্থনীতি ছিল বেশ শক্তিশালী। তবে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই পাল্টাতে থাকে দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি।
মার্কিন ডলার ও ইউরোর বিপরীতিতে দেশটির মুদ্রা সুইডিস ক্রোনারের দাম কমতে থাকে। দ্রব্যমূল্যে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি আর ব্যাংক ঋণের সুদে বাড়তি মুদ্রা পরিশোধ করায় জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ বাসিন্দারা।
সম্প্রতি সুইডেনে মুদ্রাস্ফীতির হার কমতে শুরু করলেও দৈনন্দিন ব্যয়ে তার প্রভাব পড়েনি। সুইডিস অর্থমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে ২০২৪ সালে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে বহু মানুষের চাকরি হারানোর কথা উল্লেখ করেন। এতে চাকরি হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়সহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
স্টকহোম সিটি প্লানিং কমিটির সদস্য ড. হুমায়ুন কবির বলেন, এই অর্থনৈতিক সংকটের ফলে বিভিন্ন সেক্টরে মানুষ চাকরি হারাবে। বিশেষ করে যারা কনসালটেন্সি, কনস্ট্রাকশন অথবা আবাসন সেক্টরে রয়েছেন তারা বেশি চাকরি হারাবে। তবে যারা স্টকহোমে স্বাস্থ্য খাতে চাকরি করেন তাদের চাকরি হারানোর শঙ্কা কম। বাইরের শহরে এই সম্ভাবনা একটু বেশি।
সুইডেনের মুদ্রাস্ফীতির হার নভেম্বরের ৫ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে কমে ডিসেম্বের ৪ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেলেও ২০২৪ সাল সুইডেনের অর্থনীতির জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।