জেমস ক্যামেরনের আইকনিক সিনেমা ‘টাইটানিক’-এ জ্যাক ডসনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। ছবিটি তাকে বিশ্বব্যাপী তারকাখ্যাতি এনে দিয়েছে। এই চরিত্রে কাজের কথা ছিল অস্কার মনোনীত অভিনেতা ইথান হকের। তবে সেটি আর হয়ে উঠেনি। এ নিয়ে কি মন খারাপ হয়? অভিনেতা জানিয়েছেন, কখনোই না। বরং ‘টাইটানিক’ ছবিতে জ্যাক চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ না পাওয়াটাকে আশীর্বাদ বলে মনে করেন তিনি।
সম্প্রতি ব্রিটিশ জিকিউ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইথান হক বলেন, ‘আমি মনে করি না আমি লিওর মতো সেই সাফল্য সামলাতে পারতাম। সে ছিল একেবারে ‘বিটলস’-এর মতো। পাগলামির পর্যায়ের জনপ্রিয়তা ছিল তার। সে সেটা দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে। নিজের ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে গেছে অবিশ্বাস্যভাবে।’
১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘টাইটানিক’ ইতিহাস গড়েছিল বিশ্বব্যাপী। প্রায় ২.২ বিলিয়ন ডলার আয় করা এই সিনেমা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওকে নিয়ে গিয়েছিল তারকাখ্যাতির শিখরে। তবে ইথান হক সে সময় অভিনয় করেছেন ‘গ্রেট এক্সপেক্টেশান’, ‘হেমলেট’-এর মতো ছবিতে। তার ভাষায়, তিনি তারকাখ্যাতির চেয়ে সবসময় অভিনয় দিয়ে এগিয়ে যেতে চেয়েছেন। সেটা তিনি পেরেছেন।
তার ভাষ্য, ‘তারকাখ্যাতি আসলে অপমানজনক।’ ইথান হক বলেন, ‘যখন কেউ তোমার সম্পর্কে কাগজে ভালো কথা লিখে সেটাও একরকম অপমানজনক মনে হয়। খারাপ বললে তো কথাই নেই।’
তিনি জানান, সত্যিকারের ‘তারকাখ্যাতি’র স্বাদ তিনি পেয়েছিলেন যখন উমা থারম্যানের সঙ্গে তার সম্পর্ক শুরু হয়। তখন থেকে ট্যাবলয়েড ও মিডিয়ার চাপে তিনি স্বাভাবিক জীবন থেকে দূরে সরে যান।
২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ট্রেইনিং ডে’ সিনেমার জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেতার বিভাগে অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিলেন ইথান হক। যদিও তিনি সেই পুরস্কার জিততে পারেননি তবে সহ-অভিনেতা ডেনজেল ওয়াশিংটন তাকে বলেছিলেন, ‘জিতো না তো ভালোই। তুমি চাও না পুরস্কার তোমার মর্যাদা বাড়াক। বরং তুমি এমন হও যে তোমার জন্য পুরস্কারটা মর্যাদাবান হয়ে ওঠে।’
১৯৯৮ সালে উমা থারম্যানকে বিয়ে করেন ইথান হক। সেই বছরই জন্ম নেয় তাদের মেয়ে মায়া হক। যিনি এখন নিজেও একজন অভিনেত্রী। ২০০২ সালে জন্ম নেয় ছেলে লেভন হক। তবে এই দম্পতি ২০০৫ সালে বিচ্ছেদে যান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।