লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় নিয়মিত খাদ্য হলো ডিম। অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার হিসেবে পরিচিত ডিমে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান, যা দেহের ক্যালরি সরবরাহ থেকে শুরু করে নানা খাদ্যপ্রাণও সরবরাহ করে। জেনে নিন ডিম সম্পর্কে জানা-অজানা কিছু তথ্য।
– প্রশ্ন করা হয়ে থাকে বাদামি ডিম আর সাদা ডিমের মধ্যে কোনটি ভালো? এ প্রশ্নের জবাবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিম সাদা কিংবা বাদামি যাই হোক না কেন, উভয়ের পুষ্টিগুণে বড় কোনো পার্থক্য নেই। যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটির প্রাণীবিজ্ঞানের ভিজিটিং ফেলো ট্র বুই বলেন, ‘পুষ্টিগত দিক বিবেচনা করলে উভয়ের মাঝে পার্থক্য নেই। বাদামি ডিমে রয়েছে বেশি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।
তবে এ পার্থক্য অতি সামান্য।’ তাহলে ডিমের রঙে পার্থক্য কেন হয়? এ প্রসঙ্গে গবেষকরা বলেন, ডিমের রঙের পার্থক্য হয় জিনের কারণে। সাদা পালকের মুরগি সাদা ডিম দেয়। অন্যদিকে বাদামি বা গাঢ় রঙের পালকবিশিষ্ট মুরগি বাদামি ডিম দেয়।
– রেসিপিতে সাধারণত ডিমটি বড় নাকি ছোট দিতে হবে তার উল্লেখ থাকে না। তবে এক্ষেত্রে বড় ডিম ব্যবহার করাই ভালো। অবশ্য যদি নির্দিষ্ট আকার উল্লেখ থাকে তাহলে সঠিক আকারের ডিমটিই ব্যবহার করুন।
– ডিম দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। দেহের জীবাণুগুলো দূর করতে চাইলে নিয়মিত ডিম খেতে হবে। একটি বড় ডিমে রয়েছে প্রায় ২২ শতাংশ আরডিএ বা সেলেনিয়াম। এটি শিশুদের পুষ্টি চাহিদা মেটাতেও বিশেষভাবে কার্যকর, যা তাদের বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করে।
– কোলস্টেরল দেহের ক্ষতি করে। কিন্তু কোলস্টেরলের রয়েছে ভালো ও মন্দ। ডিমে রয়েছে ভালো কোলস্টেরল। এটি দেহের মন্দ কোলস্টেরল দূর করতেও সহায়ক। এ কারণে নিয়মিত ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা। আর ডিমের কোলস্টেরল দেহের ক্ষতি করে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।