আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ওএনজিসিতে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে ৫ মে বাগদত্তা রানাকে গ্রেফতার করেন ভারত আসাম পুলিশের নারী সদস্য জুনমণি রাভা। এই খবরে গত মাসে সংবাদের শিরোনামে উঠে আসেন এই ‘লেডি সিংঘম’। তবে এবার হবু স্বামীর সঙ্গে জালিয়াতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে শনিবার গ্রেফতার হয়ে আবারও খবরের শিরোনাম তিনি।
গ্রেফতারের আগে আসামের নগাঁও জেলায় উপপরিদর্শক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন জুনমণি। তাকে গত দু’দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল পুলিশ। মাজুলি জেলার একটি আদালত তাকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জুনমণিকে মাজুলি জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জানা যায়, স্থানীয় দুই ঠিকাদারের অভিযোগের ভিত্তিতে জুনমনিকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দুই ঠিকাদার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, তারা জুনমণির প্রাক্তন বাগদত্তা রানা পোগাগের সঙ্গে আর্থিক চুক্তি করেছিলেন। জুনমণিই তাদের সঙ্গে রানার যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন। ঠিকাদারদের অভিযোগ রানা তাদের টাকা নিয়ে জালিয়াতি করেন এবং এই ঘটনায় জুনমণিও সমানভাবে জড়িত ছিলেন। এরপরই পুলিশ জুনমণিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
এর আগে ওএনজিসিতে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কয়েক জনের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা করার অভিযোগে ৫ মে রানাকে গ্রেফতার করেন জুনমণি নিজেই। মাজুলিতে থাকার সময়ই জুনমণির সঙ্গে আলাপ ও প্রেম হয়েছিল রানার। রানা নিজেকে ওএনজিসির জনসংযোগ বিভাগের কর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন।
গত বছরের ৮ অক্টোবর ধুমধাম করে তাদের বাগদান পর্ব সম্পন্ন হয়। এর পর নগাঁওতে বদলি হয়ে রানার কুকীর্তির কথা জানতে পারেন বলে দাবি করেছিলেন জুনমণি। রানার ব্যাগ থেকে ওএনজিসির ভুয়া সিল ও নথিপত্র পেয়ে তাকে গ্রেফতার করেন জুনমণি। রানা বর্তমানে মাজুলি কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।