ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) গবেষণা প্রকল্পের আওতাধীন খামার থেকে উন্নত জাতের ‘দরপার’ ও ‘গাড়ল’ প্রজাতির ১৩টি ভেড়া চুরির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের গেটসংলগ্ন খামারে এই ঘটনা ঘটে। সেখানে থাকা ১৯টি ভেড়ার মধ্যে ১৩টি চুরি হয়ে যায়। প্রতিটি ভেড়ার ওজন ছিল ৪৩ থেকে ৬০ কেজি। বর্তমানে মাত্র ৬টি ভেড়া অবশিষ্ট রয়েছে।
এর আগে গত ১ আগস্ট ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে এই প্রকল্পের ২২টি ভেড়া মারা যায়। একের পর এক দুর্ঘটনায় গবেষণায় যুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান জানান, নয়জন শিক্ষার্থীর গবেষণা শেষ পর্যায়ে ছিল। কিন্তু ভেড়া চুরির কারণে তা বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুই দিন সিমেন সংগ্রহ করা হতো এবং খামারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা হতো।
অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন বারি বলেন, ২০১১ সাল থেকে এ গবেষণা চলমান। বহু পরিশ্রমে এই ‘নিউক্লিয়ার স্লট’ তৈরি করেছি। চুরি হওয়া ভেড়াগুলো তৃতীয় প্রজন্মের। এর ফলে শুধু আমার নয়, স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের গবেষণারও মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।
বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল আলম জানান, খামারের তালা ভেঙে ভেড়া চুরি হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তাকর্মী না থাকায় এমন ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. নজমুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
তিনি বলেন, ঘটনার দিন বিকালে খামারের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই কর্মী সালাম ও রায়হান খামার ফাঁকা রেখে চলে যান। পরে ভেড়াগুলো চুরি হয়।
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, গবেষণা প্রকল্পের উন্নতজাতের ভেড়া চুরির ঘটনায় সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। ভেড়ার বৈশিষ্ট্য হলো পরিচিত মানুষের ডাকে তার পিছনে দলবেধে যাওয়া। এতে বুঝা যায় কোনো পরিচিত মানুষই চুরির সঙ্গে জড়িত। আমরা মোটামুটি বিষয়টি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। ভেড়া উদ্ধারে অভিযান চলছে।
ছবি ও সূত্র : দেশ টিভি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।