স্পোর্টস ডেস্ক : ফুটবলারদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ মর্যাদার পুরস্কার- ব্যালন ডি’অর। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর জানা যাবে, কে পাচ্ছেন বহুল আকাঙ্ক্ষিত পুরস্কারটি। তার আগে ৭ আগস্ট সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করার কথা জানিয়েছে, ফ্রান্স ফুটবল। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে একপেশে হারলেও দৌড়ে অবশ্য এগিয়ে আছেন উসমান দেম্বেলে। অন্যদিকে, ক্যারিয়ার সেরা মৌসুম পার করলেও দলগত অর্জনের হিসেবে পিছিয়ে পড়েছেন বার্সেলোনার উইঙ্গার রাফিনিয়া।
একটা দীর্ঘ মৌসুম শেষে এবার পালা ব্যালন ডি’অরের। ব্যক্তিগত অর্জনের সবচেয়ে সম্মানের এই পুরস্কার, এবার হবে কার?
পুরস্কারের বিবেচনায় থাকবে সবশেষ মৌসুম। তিনটি বিষয়ে দেওয়া হয় সর্বোচ্চ গুরুত্ব। ব্যক্তিগত নৈপুণ্য, দলীয় অর্জন আর ফেয়ার প্লে। প্রথমে ফ্রান্স ফুটবলের পক্ষ থেকে করা হয় ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা। এরপর ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১০০ দেশ থেকে একজন করে ফুটবল সাংবাদিক ১০ জনকে পয়েন্ট দিতে পারবেন। সর্বোচ্চ ১৫, এরপর ১২, ১০ কিংবা ৮ থেকে ১ পর্যন্ত করা যাবে মার্কিং। তার ওপর ভিত্তি করে বের করা হয় বিজয়ী। শীর্ষে থাকা একাধিক ফুটবলারের পয়েন্ট হলে সমান সর্বোচ্চ ১৫ পয়েন্ট পাওয়া সংখ্যাকে নেয়া হয় বিবেচনায়।
এ তো গেল বিজয়ী নির্ধারণের হিসেব-নিকেশ। এবার আসা যাক সম্ভাব্য বিজয়ীর তালিকায়।
ফিফার নতুন সংস্করণে হওয়া ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে হারলেও ফেবারিটের তালিকায় আছেন উসমান দেম্বেলে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৮ গোল আর ১৪ অ্যাসিস্ট। চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ জিতেছেন ৪ ট্রফি, অন্যটায় দলকে তুলেছেন ফাইনালের মঞ্চে।
আপাতত তাই দৌঁড়ে এগিয়ে ফ্রেঞ্চম্যান। ব্যক্তিগত নৈপুণ্য আর দলগত অর্জন- দুই হিসেবেই দেম্বেলের আশেপাশে কেউ নেই। তালিকার দুই নম্বরে চমক হিসেবে থাকছেন তারই সতীর্থ ভিতিনিয়া।
কদিন আগেও অতটা ফেবারিট ছিলেন না। তবে মৌসুমের শেষভাগে এসে তার পারফরম্যান্স আলাদা করে জন্ম দিয়েছে আলোচনার। পিএসজির হয়ে অর্জন তো সবই আছে দেম্বেলের সমান। বোনাস হিসেবে নেশন্স লিগ শিরোপা। এই মিডফিল্ডার সমীকরণ বদলে দিতে পারেন এবারের ব্যালন ডি’অরের।
তিনে আছেন মোহাম্মদ সালাহ। ২৯ গোল, ১৮ অ্যাসিস্ট। গোল করা আর করানোয় ৪৭ সংখ্যাটা ভেঙেছে ৩০ বছরের লিগ রেকর্ড। পেয়েছেন ইপিএলের গোল্ডেন বুট আর প্লে মেকারের স্বীকৃতি। ইউরোপের টপ ফাইভ লিগেও সালাহ এগিয়ে।
মৌসুমের শেষভাগে এসে কপাল পুড়েছে রাফিনিয়ার। ট্রেবল জেতা হয়নি, তবুও জাতীয় দল আর ক্লাবের হয়ে তার ৩৪ গোলের সাথে ২২ অ্যাসিস্ট। তবে এতকিছুর পরেও তার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে দলগত অর্জন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ব্যর্থতা, বার্সেলোনা সুযোগ পায়নি ক্লাব বিশ্বকাপেও।
সম্ভাব্য বিজয়ীর দৌঁড়ে আছেন বার্সা সেনসেশন লামিনে ইয়ামালও। বার্সার এমন দাপুটে মৌসুমের পেছনে বড় অবদান গত রোববার ১৮ তে পা রাখা এই স্প্যানিয়ার্ডের। অ্যাসিস্টের হিসেবে তার সামনে কেবল দুজন। এবার না হলেও, সামনের দিনে ইয়ামাল শক্তি দাবিদার হবেন ব্যালন ডি অরের।
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.