জুমবাংলা ডেস্ক: গত কয়েক বছরে বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে ভারতের মেঘালয় হতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বিভিন্ন সীমান্তছড়া দিয়ে ভেসে আসা প্রায় সোয়া ২৫ লাখ ঘনফুট বালু নিলামে বিক্রয় করা হবে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) এ সংক্রান্ত নিলাম বিজ্ঞপ্তি দাফতরিক কাজে ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেন।
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়,গত কয়েক বছরে অতিবৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানিতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বারিকটিলা হতে কলাগাঁও সীমান্ত সড়কের চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া, টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া, বড়ছড়া ছড়া, বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ছড়া, চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা ছড়া, চারাগাঁও ছড়া, কলাগাঁও ছড়া দিয়ে ভারতের মেঘালয় হতে ভেসে আসে কয়েক কোটি মূল্যের বালু ,পাথর, চুনাপাথর ও কয়লা ।
এসব খনিজ সম্পদ সীমান্ত জনপদের বিভিন্ন জনবসতি, ফসলি জমিতে মাছ চাষের নালায় স্তুপকৃতভাবে পড়ে থাকায় এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে জনস্বার্থে দ্রুত অপসারণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
এরপর জেলা বালু মহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি উন্মুক্ত নিলামে বালু অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন।
এরই প্রেক্ষিতে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও)’র কার্যালয়ে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় এসব ভেসে আসা প্রতি ঘনফুট বালু সরকার নির্ধারিত সর্বনিম্ম ডাক ৮০ পয়সা মূল্যে আরম্ভ হয়ে উন্মুক্ত নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতার নিকট বালু বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আগ্রহীরা নিলাম ডাকের এক ঘন্টা পূর্বে ২ লাখ টাকা ফেরতযোগ্য জামানত প্রদান করে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। একই ব্যক্তি একাধিক নিলাম প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
নিলামে জেলা প্রশাসনের পক্ষে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের দায়িত্বশীল প্রতিনিধি, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বা পাউবো),গণপূর্ত, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি),উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি),থানার ওসি,উপজেলা প্রকল্ বাস্তবায়ন (পিআইও) অফিসের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থাকবেন।
মঙ্গলবার তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রায়হান কবির এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কোনো প্রকার সিন্ডিকেট প্রথা এড়িয়ে আগ্রহী যে কোন ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী এ উন্মুক্ত নিলামে অংশ নিতে পারবেন। নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতাকে প্রতিটি সীমান্ত ছড়ার এসব বালু নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সরিয়ে নিতে হবে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শুধু স্থানীয় জনসাধারণের দাবিতে জেলা বালু মহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির এখতিয়ারভুক্ত এ বালু অপসারণের জন্য এ নিলাম আহ্বান করা হয়েছে। খনিজ বালু ব্যাতিত ভেসে আসা খনিজ (কয়লা,পাথর, চুনাপাথর) এ নিলামের আওতাভুক্ত নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।