জুমবাংলা ডেস্ক : রাজশাহী নগরের বড়বনগ্রাম শেখপাড়া এলাকায় এক ব্যক্তির বাগান থেকে জোর করে বাঁশ কেটে নিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় কিছু লোকজন। শুধু তা-ই নয়, তারা পুকুর থেকে মাছও ধরে নিয়ে গেছেন। এমন অভিযোগে ভুক্তভোগী ব্যক্তি শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিকার চেয়েছেন।
ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম সরদার মো. জুবায়ের হাসান (৪৩)। তিনি নগরের উপশহরের বাসিন্দা। শনিবার বেলা সাড়ে ১২টায় রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সরদার মো. জুবায়ের হাসান অভযোগ করেন, বড়বনগ্রামের মকছেদ আলী, মো. হারান, মো. জমশেদ, মো. লিটন, গাজলু, মো. গফুর, মো. গাফফার, মো. শামীম ও মো. শাওন তার বাঁশ কেটে নিয়ে গেছেন। জোর করে তারা মাছও ধরে নিয়েছেন। অভিযোগ না করতে তারা হুমকিও দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জুবায়ের হাসান বলেন, বড়বনগ্রাম শেখপাড়া মৌজায় তার এবং তার বাবা আব্দুর রাজ্জাকের নামে তিন বিঘা জমি আছে। ওই জমিতে পুকুর এবং আম ও বাঁশবাগান আছে। সম্প্রতি এলাকার ওই ব্যক্তিরা বাগান থেকে পাঁচটি লিচু গাছ ও ৪০টি বাঁশ কেটে নেন।
এরপর গত ২ ডিসেম্বর সকালে তারা আবার পুকুর থেকে প্রায় ২৫ মণ মাছ ধরে নিয়ে যান। শত্রুতা করে তারা পুকুরে বিষ ঢেলে অবশিষ্ট মাছ মেরে ফেলে। এতে তার প্রায় চার লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
জুবায়ের হাসান বলেন, ‘আমার জমিতে গেলে আমাকেই মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে এলাকার ওই ব্যক্তিরা। আমাকে এভাবে অত্যাচার করে করে তারা জমিছাড়া করতে চাইছে। এ ব্যাপারে আমি শাহমখদুম থানায় একটা অভিযোগ করেছি। তবে এখনও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
জানতে চাইলে শাহমখদুম থানার ওসি মাহবুব আলম বলেন, ‘অভিযোগ সম্পর্কে এখনও আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ হলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ কথা বলার জন্য অভিযুক্ত মকছেদ আলীর মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।