জুমবাংলা ডেস্ক : পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর জারি থাকা নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। পরবর্তী নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে। গত বছর খরা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভারতে পেঁয়াজের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতির কারণে দাম প্রায় আকাশচুম্বী ছিল।
গত বছরের ডিসেম্বরেই চড়া দামে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত সরকার এবং তা চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর ছিল। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ফের তা বৃদ্ধি করা হলো।
শুক্রবার ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড’ (ডিজিএফটি) এর পক্ষ থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত সেই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরেও কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে পেঁয়াজের দাম কমেনি। রাজ্যে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ রুপির মধ্যে ওঠানামা করছে। আবার কোনো কোনো জেলায় একটু ছোট সাইজের পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ২৫ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে।
বড় ও ভালো মানের পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৪০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। আবার সেই পেঁয়াজ কোথাও ৩৫ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দামে কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে।
তবে শিগগির পেঁয়াজের দাম কমার আশা করছেন রাজ্যের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা। শিয়ালদহ কোলে মার্কেটের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বাপি দে বলেন, আপাতত বাংলাদেশে ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাতে পেঁয়াজ রপ্তানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানেও পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে ভারত সরকার। এর ফলে পেঁয়াজের দাম ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে।
হঠাৎ করে কলকাতায় পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় কারণ কি? এমন প্রশ্নের জবাবে পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বাপি দে জানান, চাহিদা মতো পেঁয়াজের সরবরাহ নেই বাজারে। যেটুকু পেঁয়াজ মিলছে তা চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। সে কারণেই খুচরা বাজারে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম।
কিন্তু ভারত সরকারের নতুন সিদ্ধান্তের ফলে ধীরে ধীরে পেঁয়াজের দাম অনেকটাই কমবে বলে মনে করছেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।