বিনোদন ডেস্ক : প্রতিবার ঈদে চলচ্চিত্র পাড়ায় বাড়তি আমেজ তৈরি হয়। প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী-কলাকুশলীরা ব্যস্ত থাকেন সিনেমা নিয়ে। যদিও এই ব্যস্ততা অনেক গুণ কমে গেছে। অথচ এক যুগ আগেও ঈদে সিনেমা মুক্তি নিয়ে দর্শকের বাড়তি কৌতূহল ছিল, ছিল সিনেমা দেখার প্রস্তুতি।
কেন এই ছন্দপতন? বাংলা সিনেমা কেন ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না? ঈদের সিনেমা নিয়ে কেন আর আগের মতো উচ্ছ্বাস নেই?
নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আগে রোজার ঈদে রোমান্টিক ঘরানার সিনেমা মুক্তি দেওয়া হতো, আর কোরবানির ঈদে অ্যাকশন। এখন এ নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না, কেউ এগুলো মানে না। ইচ্ছে মতো সিনেমা মুক্তি দেন। তাছাড়া এখন সিনেমা মুক্তির জন্য প্রস্তুতিও তেমন নিতে হয় না। নিজেদের ইচ্ছে মতো সব কিছু করা হয়।’
জনপ্রিয় খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর। আশির দশক থেকে চলচ্চিত্রে তিনি। বলা যায়, সুসময় এবং দুঃসময় তিনি দুটোই দেখেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তখন একটা সিনেমায় রাজ্জাক ভাই, আলমগীর ভাই, শাবানা আপার সঙ্গে সালমান শাহ-মৌসুমী থাকতো। তখন এদের সবার উপরে গল্প ছিল। তাই দায়িত্বটাও সবার ছিল। এখন সিনেমা হয় নায়ক-নায়িকা আর ভিলেনের উপর। তাই দায়িত্বটা ভাগ হয়ে কমে গেছে।
তখন বড় প্রোডাকশন ছাড়া কেউ ঈদে সিনেমা মুক্তি দেওয়ার সাহস পেত না। মান্না-মৌসুমীকে নেওয়ার পর ওদের বাবা-মা নেওয়া হতো শাবানা-আলমগীর। এরপর হুমায়ুন ফরীদি ভাই মিশা সওদাগরকে নেওয়া হতো ভিলেন হিসেবে। আবার কমেডির জন্য নেওয়া হতো দিলদার-নাসরিনকে। এখন সিনেমায় কমেডি নেই।’
তাহলে কি সারাক্ষণ নায়ক-নায়িকা দেখবে মানুষ? প্রশ্ন করে এই খলনায়ক বলেন, ‘এখন সিনেমার গান তেমন হিট হয় না। বাংলা সিনেমা পড়ে যাওয়ার পেছনে গান অন্যতম কারণ। বাংলা সিনেমার গানই তো প্রাণ।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।