জুমবাংলা ডেস্ক : জেট হোল্ডিংস পিএলসি উড কোটিং এবং ব্রাশ মার্কেটে একটি শ্রীলঙ্কান শীর্ষস্থানীয় এবং উদীয়মান আঞ্চলিক পেইন্ট প্রস্তুতকারক কোম্পানি।
গত ১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ কোম্পানিটি বাংলাদেশে তাদের নতন অ্যালকিড রেজিন প্ল্যান্টের কার্যক্রম শুরু করার মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক চিহ্নিত করেছে।
কোম্পানিটি বাংলাদেশে তাদের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সংস্থা এশিয়া কোটিং (প্রাইভেট) লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে এই প্লান্ট স্থাপন করেছে। এটি জেট হোল্ডিংস পাবলিক লিমিটেডের জন্যে একটি ইতিবাচক মুহূর্ত কেননা নতুন অ্যালকিড রেজিন প্ল্যান্ট উন্নত ব্যাকওয়ার্ড ভার্টিকাল ইন্টেগ্রেশনের মাধ্যমে কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
নতুন প্ল্যান্টটি সলভেন্ট-বেসড পলিউরেথেন, নাইট্রোসেলুলোজ এবং এনামেল কাঠের আবরণ এবং পেইন্টের জন্য প্রাথমিক কাঁচামাল তৈরির জন্য স্থাপন করা হয়েছে। একটি আনন্দঘন এবং উৎসবমুখর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন প্ল্যান্টের কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির কান্ট্রি হেড অ্যান্ড অপারেশনস ডিরেক্টর-বাংলাদেশ জনাব শামারা ওয়ানিয়ারাচ্চি, ডিরেক্টর- রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট জনাব অজিত বান্ডারা , জেনারেল ম্যানেজার- হিউম্যান রিসোর্স – জনাম সুদাথ সিল্ভা এবং আরও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃন্দ। এই অর্জনের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে জনাব শামারা ওয়ানিয়ারাচ্চি, কান্ট্রি হেড এবং অপারেশনস ডিরেক্টর-বাংলাদেশ মন্তব্য করেছেন, “বাংলাদেশে আমাদের নতুন অ্যালকিড রেজিন প্ল্যান্টের কার্যক্রম শুরু করার মাধ্যমে সামাজিক এবং পরিবেশগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পণ্যের গুণমান, উত্পাদন দক্ষতা, মূল্য সরবরাহ সহ একাধিক ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে।
তিনি আরও যোগ করেন, ব্যাকওয়ার্ড ভার্টিকাল ইন্টেগ্রেশনের মাধ্যমে, আমাদের পন্য সরবরাহ এবং মূল্য শৃঙ্খলের উপর আমাদের আরও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে, এবং এটি আমাদের খরচ, উপাদানের ব্যবহার, বর্জ্য, গবেষণা ও উন্নয়ন এবং পণ্য প্রকৌশল পরিচালনা করতে সহায়তা করবে, যা পরিশেষে আমাদেরকে যথাযথ মূল্য নির্ধারণে সহায়তা করবে। এর অর্থ হল আমরা আমাদের তৈরি করা আরও সাশ্রয়ী, উচ্চ-মানের পণ্য বাজারজাত করতে সক্ষম হব এবং পাশাপাশি উদ্বৃত্ত কাঁচামাল রপ্তানি করে আমাদের রপ্তানি কর্মক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম হব।
জেট হোল্ডিংস পাবলিক লিমিটেড তাদের বিগত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে নেতৃত্বস্থান ধরে রাখার প্রকল্প নিয়ে তাদের ২০২১ সালে সফল আই পি ও এর মাধ্যমে সংগ্রহ করা তহবিলকে কাজে লাগিয়ে ২০২২ সালে সম্পূর্ণ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এশিয়া কোটিংস এর যাত্রা শুরু করে। এই কৌশলগত পদক্ষেপটি শুধু জেট এর আঞ্চলিক পদচিহ্নকে শক্তিশালী করেনি বরং কোম্পানিটিকে বাংলাদেশের ফার্নিচার শিল্পে অবদান রাখার জন্যে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়, কোম্পানিটি বিগত ২০ বছর ধরে দেশের শীর্ষস্থানীয় সকল নেতৃস্থানীয় ফার্নিচার প্রস্তুতকারকদের সাথে সুনামের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে ব্যবসা করে আসছে। আই পি ও থেকে অর্জিত অবশিষ্ট অর্থের মাধ্যমে এই অ্যালকিড রেজিন প্ল্যান্ট স্থাপন করে।
আমাদের দক্ষ গবেষণা ও উন্নয়ন টিম ভোক্তার চাহিদা অনুযায়ী ক্রমাগত উদ্ভাবন ও পণ্যের বিকাশ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। কোম্পানির গবেষণা ও উন্নয়ন ডিরেক্টর অজিথ বান্ডারা বলেছেন, জেট এর অত্যাধুনিক গবেষণা ও উন্নয়ন টিম তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও গবেষণার মাধ্যমে এই অ্যালকিড রেজিন প্লান্টের ফর্মুলা আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। এই প্লান্টে অত্যাধুনিক সব মেশিন দিয়ে পরিচালিত হবে। আমাদের সুপরিক্ষিত গবেষক এবং বিশেষজ্ঞদের দল তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কায় ব্যতিক্রমী পণ্য ডিজাইন করতে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে , এখন বহুজাতিক উৎপাদন শিল্পে পদার্পণের মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করেছে।
নিজেদের নেতৃত্বকে আরও দৃঢ় করতে জেট সবসময় বদ্ধপরিকর। জেট হোল্ডিং পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি শ্রীলঙ্কায় কাঠের আবরণ এবং ব্রাশের বাজারজাতকরনে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান। সেখানে পেইন্ট এবং বিলাসবহুল বাড়ি এবং অফিসের ফার্নিশিং সেক্টরে তাদের শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে। বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকায় ২ টি উৎপাদন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি এই অঞ্চলে তাদের অবস্থান আরও দৃঢ় করেছে।
প্রতিকূলতার সময়েও আর্থিক স্থিতিশীলতার কোম্পানিটি ফিচ রেটিং দ্বারা ‘AA (lka)’-এর একটি জাতীয় দীর্ঘ-মেয়াদী রেটিং এওয়ার্ডে সমাদৃত হয়েছে, এবং একইসঙ্গে বহুমুখী খাত এল এম ডি দ্বারা সমাদৃত সম্মানজনকভাবে ১ নম্বর সর্বাধিক পুরস্কৃত সত্তা হিসাবে স্থান পেয়েছে। এছাড়াও কর্মচারীদের প্রতি প্রতিশ্রুতি এবং কর্মক্ষেত্রের শ্রেষ্ঠত্বকে কাজের জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা হিসাবে নিজেদের প্রমান করে তার সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে স্বীকৃত হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।