বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : কয়েক দিন আগেই হয়েছে চন্দ্রগ্রহণ। দোলপূর্ণিমার দিনে হয় চন্দ্রগ্রহণ। আগামী সপ্তাহে পৃথিবীবাসী সাক্ষী হতে চলেছে এক বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যের। ৮ এপ্রিল হতে চলেছে এই সূর্যগ্রহণ।
তবে এই গ্রহণ দেখা যাবে না ভারত এবং বাংলাদেশ থেকে। কেবল মাত্র মেক্সিকো থেকে কানাডা পর্যন্ত অঞ্চলে দেখা যাবে এই গ্রহণ। এই মহাজাগতিক দৃশ্য দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে গোটা বিশ্ব।
কোথা থেকে দেখা যাবে?
৮ এপ্রিল বাংলাদেশের সময়, রাত ৯টা ৪৩ মিনিট থেকে রাত ২টা ৫২ মিনিটের মধ্যে এই সূর্যগ্রহণ হবে। ফলে ভারত , বাংলাদেশ এবং আশেপাশের অঞ্চলে থেকে সেটা দেখা যাবে না। এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডার কয়েকটি জায়গা থেকে । সেই সঙ্গে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা, স্পেন, ব্রিটেন, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল ও আইসল্যান্ডের কয়েকটি স্থান থেকে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
কখন হবে গ্রহণ?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলেছে, পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ ১ থেকে সাড়ে ৪ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হবে। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় দেখা যাবে এই গ্রহণ, সেখানে ৪ মিনিট ২৭ সেকেন্ড পর্যন্ত দেখা যাবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ বলে জানানো হয়েছে। সেই সময় চাঁদ সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে। ফলে দিনের বেলাতেই নেমে আসবে অন্ধকার।
অন্যরা দেখবেন কীভাবে?
বাংলাদেশ, ভারত এবং আশেপাশের অঞ্চল থেকে থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা না গেলেও চাইলে নাসার ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। ফলে সূর্যগ্রহণ দেখতে আগ্রহী ব্যক্তিরা সহজেই স্মার্টফোন বা কম্পিউটারের মাধ্যমে অনলাইনে সরাসরি পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখতে পারবেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানান, চলতি বছর দুটি আংশিক সূর্যগ্রহণও দেখা যাবে।
এটা কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ?
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই সূর্যগ্রহণ বিরল হতে চলেছে। তারা বলেছে, বিশ্ব এক মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হতে চলেছে! কারণ, ৫০ বছর পর সম্পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে। 1806 সালের পর এই সূর্যগ্রহণটি হবে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ। বিজ্ঞানীদের মতে, শেষবার এই দীর্ঘ পূর্ণগ্রহণ হয়েছিল 1973 সালে। এমন দৃশ্য আবার দেখতে আমাদের আরও অনেক বছর অপেক্ষা করতে হবে।সূত্র : এখনই সময়, ভারত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।