জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে উন্নতির ইঙ্গিত মিলেছে, যদিও সূচক এখনও সংকোচনের মধ্যেই রয়েছে। মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) এবং পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ (পিইবি) যৌথভাবে প্রকাশিত আগস্ট মাসের বাংলাদেশ ক্রয় ব্যবস্থাপক সূচক (পিএমআই) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আগস্টে পিএমআই ৪৩.৫, জুলাইয়ের তুলনায় ৬.৬ পয়েন্ট বেশি
পিএমআই সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে অর্থনীতির সংকোচন নির্দেশ করে। আগস্ট ২০২৪-এর পিএমআই সূচক ৫০-এর নিচে থাকলেও, জুলাইয়ের ৩৬.৯ পয়েন্টের তুলনায় আগস্টে ৬.৬ পয়েন্ট বেড়ে ৪৩.৫ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সকল খাতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এবং স্বাভাবিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বাসসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই মাসে ব্যাপক অস্থিরতা এবং পতনের আগে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত চরম পদক্ষেপের কারণে সূচকটি ২৭ পয়েন্ট কমে ঐতিহাসিকভাবে সর্বনিম্ন ৩৬.৯ পয়েন্টে নেমে এসেছিল।
ভবিষ্যৎ ব্যবসা সূচক ইতিবাচক
পিএমআই একটি দেশের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সময়োপযোগী এবং সঠিক ধারণা প্রদান করে, যাতে ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং নীতিনির্ধারকরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। পিএমআই অনুসারে, ৫০-এর উপরে সূচক সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দেয় এবং ৫০-এর নিচের সংখ্যা পূর্ববর্তী মাসের তুলনায় সংকোচনের ইঙ্গিত দেয়। যদিও টানা দুই মাস ধরে আগস্টে সব খাতেই সংকোচনের ইঙ্গিত মিলেছে, তবুও উৎপাদন, কৃষি এবং সেবা খাতে সামান্য উন্নতি লক্ষ করা গেছে। ভবিষ্যৎ ব্যবসা সূচক অর্থনীতির সকল গুরুত্বপূর্ণ খাতের জন্য সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যদিও গুরুত্বপূর্ণ কিছু খাতে পূর্ববর্তী মাসের তুলনায় ধীর গতিতে।
উৎপাদনে উন্নতি, নির্মাণ খাতে ধীরগতি
উৎপাদন খাত আগস্টে ১৩.৬ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭.৭ পয়েন্টে পৌঁছেছে, যা ধারাবাহিক সংকোচন নির্দেশ করে। কৃষি খাত জুলাইয়ের আগে ধারাবাহিক ৬ মাস ধরে সম্প্রসারণের পর, আগস্টে ৩.৩ পয়েন্ট উন্নতির পর ৩৮.৭ পয়েন্টে পৌঁছেছে। নির্মাণ খাত টানা দ্বিতীয় মাস ধরে এবং দ্রুত হারে সংকুচিত হয়েছে। জুলাইয়ের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে আগস্টে খাতটির স্কোর ছিল ৪০। আগস্টে সেবা খাতের পিএমআই স্কোর ৪৩.২ পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে, যা জুলাইয়ের তুলনায় ৬.২ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।
এমসিসিআই: রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি
এমসিসিআই-এর মহাসচিব ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, বিপ্লবের পর কয়েক সপ্তাহ স্থিতিশীলতা থাকলেও, বিভিন্ন অস্থিরতার ঘটনায় ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে যার ফলে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, জুলাই মাসে যে অর্থনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল তা থেকে সম্পূর্ণরূপে উত্তরণের জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কঠোরভাবে পুনঃস্থাপন এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে কারখানাগুলো চালু রাখা জরুরি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।