জুমবাংলা ডেস্ক : ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইলের শাড়ির জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) বাংলাদেশের বলে ঘোষণা দেবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠান প্যাটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রয়োজনে বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থার (ডব্লিউআইপিও) মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়িকে সম্প্রতি নিজেদের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারত। এ নিয়ে দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টও দেওয়া হয়। যদিও এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠলে পরে ওই পোস্ট সরিয়ে নেয় তারা।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে সব মহলে আলোচনা শুরু হলে নড়েচড়ে বসেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে জিআই পণ্যের স্বীকৃতিসংক্রান্ত এক জরুরি সভা হয়। এ সময় শিল্পসচিব টাঙ্গাইলের শাড়ির জিআই নিবন্ধনের জন্য সব প্রক্রিয়া দ্রুত অনুসরণ করে আবেদন করার নির্দেশ দেন। সভায় ডিপিডিটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অনলাইনে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
সভায় সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি ও নিবন্ধন দেওয়া হবে। টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি ছাড়াও মধুপুরের আনারস, নরসিংদীর লটকন, সাগরকলা, ভোলার মহিষের কাঁচা দুধের দই ইত্যাদিসহ জিআই পণ্যের স্বীকৃতির জন্য যেসব আবেদন অনিষ্পন্ন আছে তা দ্রুত সম্পাদন করতে হবে। এ বিষয়ে কোনো গাফিলতি গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত দেশের ২১টি পণ্যকে জিআই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। দেশের ৬৪টি জেলা থেকে এক বা একাধিক পণ্য বা বস্তু খুঁজে বের করে আবেদন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করা হয়েছে। জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির পর এগুলোকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ব্র্যান্ডিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সভায় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম জানান, টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন যথাযথভাবে ডকুমেন্টেশন করে দু-এক দিনের মধ্যে জমা দেওয়া হবে। এরই মধ্যে আবেদন ফি দেওয়ার জন্য পে-অর্ডার করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।