বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সাম্প্রতিক সময়ে উত্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই রিজার্ভ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১১টি ব্যাংক থেকে ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে। এর ফলে রবিবার (১০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মোট রিজার্ভ (গ্রস) দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ২৪৮ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্ধারিত হিসাবপদ্ধতি বিপিএম৬ অনুসারে, এই পরিমাণ ২৫ দশমিক ২৩২ বিলিয়ন ডলার।
একই দিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ (এফএক্স) নিলাম কমিটি একাধিক মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে (মাল্টিপল প্রাইস অকশন) ১১টি ব্যাংক থেকে মোট ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে। ডলারের বিনিময় হার ছিল প্রতি ডলার ১২১ দশমিক ৪৭ থেকে ১২১ দশমিক ৫০ টাকার মধ্যে, যেখানে সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য হার (কাট-অফ) নির্ধারণ করা হয় ১২১ দশমিক ৫০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ডলার কেনা কোনও তাৎক্ষণিক সংকট মোকাবিলার জন্য নয়, বরং এটি বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা আনা, বাজারের মনস্তাত্ত্বিক চাপ কমানো এবং রিজার্ভকে ধীরে ধীরে শক্তিশালী করার একটি কৌশল।
বিশ্লেষকদের মতে, গত এক বছর ধরে ডলার বিক্রি করে বাজারে সরবরাহ বজায় রাখলেও— সম্প্রতি উল্টো কৌশল নিয়ে বাজার থেকে ডলার কেনা শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে স্বল্পমেয়াদে রিজার্ভে কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব পড়লেও দীর্ঘমেয়াদে এর কার্যকারিতা নির্ভর করবে রফতানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহের ওপর।
তাদের পর্যবেক্ষণ, রিজার্ভ বাড়াতে শুধু নিলামের মাধ্যমে ডলার কেনাই যথেষ্ট নয়— বরং রফতানি অর্ডার বৃদ্ধি, প্রবাসী আয় বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি এবং আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণের সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।
Get the latest Zoom Bangla News first — Follow us on Google News, Twitter, Facebook, Telegram and subscribe to our YouTube channel.