জুমবাংলা ডেস্ক : ব্যাংক আমানতে বেঁধে দেওয়া সুদহার তুলে নিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া ভোক্তাঋণের সুদহার বাড়িয়ে ১২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে এ সিদ্ধান্ত জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। এ সময় গভর্নর জানান, ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর অনিয়মের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পণ্য আমদানিতে ব্যবসায়ীদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। বছর ব্যবধানে প্রায় ২৫ শতাংশ ডলারের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি সংকটও এখন এই মুদ্রার। সবমিলিয়ে বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে গিয়ে দামের ঊর্ধ্বগতিতে নাজেহাল সাধারণ মানুষ।
ব্যাংকে টাকা রাখতে গিয়েও আমানতে মিলছে কম সুদ। এতসব শঙ্কার মধ্যেই চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের সতর্ক মুদ্রানীতি ঘোষণা করলো বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই মূল লক্ষ্য। বাজারে অর্থপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নীতি সুদহারও বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রেপো সুদহার ২৫ পয়েন্ট বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ৬ শতাংশ। চার বছর পর উঠে গেল আমানতের সর্বোচ্চ সুদ হার। তবে চাপে পড়লেন ভোক্তারা কারণ বেড়েছে ঋণের সুদহার।
তিনি বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংকে শেয়ারহোল্ডারের চেয়ে সাধারণ মানুষের বেশি টাকা রয়েছে। ব্যাংকটি সমস্যায় পড়লে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হতো। মানুষের ক্ষতির কথা বিবেচনায় এনেই সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি এ ব্যাংকে ১ লাখ ৫১ হাজার কোটি টাকা আমানত রয়েছে, অ্যাকাউন্ট রয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ। দেশের ইতিহাসে কোনো ব্যাংক এখনো বন্ধ হয়নি। ব্যাংক সমস্যায় পড়লে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক সাপোর্ট দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওভার ইনভয়েজিং, আন্ডার ইনভয়েজিং করে টাকা পাচারের ঘটনা কমিয়ে আনা হয়েছে। আমদানির ক্ষেত্রে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের এলসি খুলতে পণ্যের যে দাম ছিল তার এক-চতুর্থাংশে এলসি খুলেছে গ্রাহকরা। ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার জন্য এটা করেছে। বাকি তিন-চতুর্থাংশ অর্থও কোনো না কোনো জায়গা থেকে পরিশোধ করা হয়েছে। এসব বিষয় বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষণে ওঠে এসেছে। এগুলো অনেকাংশই নিয়ন্ত্রণে এসেছে, আরও কমে আসবে।’
বৈশ্বিক সংকট সামাল দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেওয়া উদ্যোগ কাজে দিতে শুরু করেছে বলেও দাবি করেন গভর্নর।
অনুষ্ঠানে মুদ্রানীতির মূল বিষয় তুলে ধরেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, কাজী ছাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছের, এ কে এম সাজেদুর রহমান খান, বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস, প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. হাবিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হকসহ গবেষণা বিভাগের সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।