জুমবাংলা ডেস্ক : সার্ভার সংযুক্ত কম্পিউটারে পেনড্রাইভ ব্যবহারেই বাংলাদেশ বিমানের ইমেইল নিয়ন্ত্রণে নেয় হ্যাকাররা। বছর পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনায় কাউকেই অভিযুক্ত করেনি সংস্থাটি। উল্টো আইটি সংশ্লিষ্টদের সাফাই গাইলেন খোদ সংস্থাটির এমডি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জবাবদিহি না থাকায় একের পর এক বিশৃঙ্খল ঘটনার শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ বিমান।
বিশ্বের উৎকর্ষতা প্রযুক্তি নির্ভর। আর প্রযুক্তিকে পুঁজি করেই সব অর্জন বেহাত করে নেয় হ্যাকাররা। এমন অবস্থার শিকার হয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
ঘটনা ২০২৩ সালের ১৮ মার্চ। সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানের চারটির মধ্যে একটি ইমেইল সার্ভার নিজেদের আওতায় নেয় হ্যাকাররা। জিরো-ডি-অ্যাটাক্ট করে বিমানের প্রতিটি ইমেইলে প্রবেশ করে র্যানসামওয়্যার।
এসব ইমেইলের মধ্যে ছিল উড়োজাহাজ, রুট, ক্রু, পাইলট, বিমানবন্দর, সময়সূচি, যাত্রী, ক্রয় ও বিলিং সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। সংস্থাটির প্রধান নিজেই বলছেন, অসতর্কভাবেই পেনড্রাইভ ব্যবহার করায় ক্ষতিকর সফটওয়্যার প্রোগ্রাম বা ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে সার্ভারে। কিন্তু কর্মীদের দায় চাপাতে নারাজ বিমান।
বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. শফিউল আজিম বলেন, এখানে ইচ্ছাকৃত ভাবে কোনো ভুল হয়ানি। পেনড্রাইভ ব্যবহারের কারণে ভুলবশত বা অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ঘটনাটি ঘটেছে।
তথ্য বলছে, বাংলাদেশ বিমানের যে কজন কর্মকর্তা আইটি বিভাগে আছেন তাদের বেশিরভাগেরই নেই আইসিটি বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা কিংবা ব্যাকগ্রাউন্ড। এমন প্রশ্নে কিছুটা দায় স্বীকার করে আপডেট প্রশিক্ষণের কথা বলেই এড়িয়ে যান সংস্থা প্রধান।
মো. শফিউল আজিম বলেন, বিমানের আইটি বিভাগে কর্মরতদের কার্যক্ষমতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সার্ভারের নিরাপত্তাহীনতা, পাইলট নিয়োগে অস্বচ্ছতাসহ নানা বিশৃঙ্খলার পেছনে রাষ্ট্রীয় সংস্থার দায় নিয়ে কাজ না করা ও পেশাদারিত্বের অভাব আছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল হক বলেন, বিমানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে। বিমানের নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ করতে হবে।
এদিকে বছর পেরিয়ে গেলেও সাইবার হামলার ঘটনায় কাউকে শাাস্তির আওতায় না নিয়ে আসায় ঊর্ধ্বতন মহলের সম্পৃক্ততা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি সংস্থাটির অস্বচ্ছ বিভিন্ন কেনাকাটার হিসাব অদৃশ্য করতেই পরিকল্পিতভাবে সার্ভার হ্যাকের ঘটনার কথাও বলছেন সাবেক অনেকেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।