স্পোর্টস ডেস্ক : কাগজে-কলমে ২৬ ওভার বাকি ছিল। তবে অত ওভার যে খেলা হবে না, সেটা সহজেই অনুমান করে নেওয়া যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১২ ওভারই বোলিং করতে পারল পাকিস্তান। তাতে বাংলাদেশের দুই ওপেনার পাকিস্তানের পরিকল্পনাটা সফল হতে দিলেন না। বাংলাদেশ আজ দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে বিনা উইকেটে ২৭ রান নিয়ে। প্রথম ইনিংসে এখনো বাংলাদেশ পিছিয়ে ৪২১ রানে।
পরিকল্পনাটা কী ছিল, সেটা বুঝতে খুব বেশি ভাবতে হয় না। বাংলাদেশকে ১১৩ ওভার ফিল্ডিং করানোর পর পাকিস্তানের আজ বিকেলে বেশ কিছু ওভার হাতে রেখে ইনিংস ঘোষণা করার নেপথ্যে পরিকল্পনা তো একটিই হওয়ার কথা – দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে বাংলাদেশের এক-দুটি উইকেট তুলে নেওয়া।
পাকিস্তান নতুন বলে কিছুটা ভোগাতে পারলেও পিচ আজ আর বোলারদের দিকে হাত বাড়ায়নি। বাংলাদেশের দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসানও দারুণ ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে দেখেশুনে পার করে দিয়েছেন ১২টি ওভার। তাতে রান মাত্র ২৭টি উঠেছে, রানরেট ২-এর একটু ওপরে, তবে তা নিয়ে সম্ভবত বাংলাদেশের কারও আপত্তি থাকবে না। দিন শেষে উইকেটের ঘরে সংখ্যাটা শূন্য – বাংলাদেশের পরিকল্পনা তো প্রাথমিকভাবেই এটিই থাকার কথা ছিল।
কাল দিনের শুরুতেও অবশ্য একই পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশকে। পাকিস্তানের বোলাররা আজ রাতে বিশ্রাম নিয়ে নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়বেন কাল। তবে বড় পরীক্ষাটা দিতে হবে বল পুরোনো হয়ে যাওয়ার পর। বল তখন রিভার্স সুইং করা শুরু করবে, আর রিভার্স সুইং তো পাকিস্তানের ‘প্যাটেন্ট’ করা সম্পত্তির মতো! বাংলাদেশের দুই ওপেনারের কাল তাই শুরুতে রানের গতি কিছুটা বাড়ানোর চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ থাকবে, শুরুতে উইকেট না দেওয়া। উইকেটের ঘরে সংখ্যাটা কম থাকলে সেটা পুরোনো বলে রিভার্স সুইংয়ের সময়ে বাংলাদেশকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে, এই আর কী!
শাহিন আজ বল হাতে অতটা ভালো করতে পারেননি, তিনি বোলিং করেছেন পাঁচ ওভার। বরং বাংলাদেশকে কিছুটা ভুগিয়েছে এখন পর্যন্ত নাসিম শাহর ৫ ওভার। শেষদিকে খুররম শেহজাদও তাঁর ৩ ওভারে দারুণ কিছু ডেলিভারি করেছেন।
এর মধ্যেই শেষ ওভারে একটা লেগ বাই চারের আগে তিনটি চার দেখেছে বাংলাদেশের ইনিংস। প্রথম ওভারে শাহিন আফ্রিদিকে স্লিপের ফাঁক গলে সাদমানের চারে আত্মবিশ্বাসের জোর হয়তো বেশি ছিল না, তবে ষষ্ঠ ওভারে নাসিমকে আলতো কাটে জাকিরের চার কিংবা অষ্টম ওভারে খুররমের বলে সাদমানের চারটা আত্মবিশ্বাসী শটই ছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।