বাংলাদেশকে দেওয়া বিদ্যুতের জন্য বকেয়া অর্থ সংক্রান্ত বিরোধের কারণে ভারতের আদানি পাওয়ার লিমিটেড ১১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করতে পারে বলে সতর্ক করেছে। এ বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সালিশি প্রক্রিয়ায় যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান জানিয়েছেন, “আলোচনা প্রক্রিয়া এখনও চলছে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সালিশিতে অংশ নেওয়া হবে।”
২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের গড্ডা প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে আদানি পাওয়ার। তবে চুক্তি অনুযায়ী কর ছাড় সুবিধা ও বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। এ কারণে বকেয়া অর্থ নিয়ে সমস্যা চলছিল।
আদানি পাওয়ারের সাম্প্রতিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিরোধ নিষ্পত্তি ও সমাধানের জন্য উভয় পক্ষই আন্তর্জাতিক সালিশি প্রক্রিয়া বেছে নিয়েছে। দ্রুত, মসৃণ এবং পারস্পরিকভাবে লাভজনক সমাধানের বিষয়ে আমরা আশাবাদী।”
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ছিল ১৪.৮৭ টাকা (প্রায় ০.১২২ মার্কিন ডলার), যা অন্যান্য ভারতীয় সরবরাহকারীর তুলনায় বেশি। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ৮.১৬ বিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। আদানি পাওয়ারের দাবি, কর ছাড়ের বিষয়ে সমন্বয় হলে বাংলাদেশ প্রায় ২৮.৬ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করতে পারত।
বাংলাদেশে বিদ্যুতের নির্ভরযোগ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে আদানি পাওয়ার জানিয়েছে, তারা নির্ভরযোগ্য, সাশ্রয়ী ও উচ্চমানের বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখবে। তবে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত বকেয়া অর্থ মেটানো না হলে সরবরাহ বন্ধের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ সংক্রান্ত এই বিরোধটি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ গড্ডা প্ল্যান্ট থেকে সরবরাহিত বিদ্যুৎ দেশের মোট চাহিদার প্রায় এক-দশমাংশ পূরণ করে।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সালিশি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিরোধ সমাধান না হলে আগামী দিনে বাংলাদেশে বিদ্যুতের নিরাপদ ও স্থিতিশীল সরবরাহে প্রভাব পড়তে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



