স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপের আগে নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলংকাকে গুঁড়িয়ে বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। এতে বিশ্বমঞ্চে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়ে রাখলো লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
শুক্রবার আসামের গৌহাটির বারসাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-শ্রীলংকা। যেখানে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে ৪৯.১ ওভারে ৯ উইকেটে ২৬৩ রান সংগ্রহ করে লংকানরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৩ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।
বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। ম্যাচের শুরু থেকে দেখেশুনে খেলতে থাকেন তারা দু’জন। একই সঙ্গে দলীয় ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছে তামিম-লিটন জুটি।
লক্ষ্য তাড়ায় ৩৯ বলেই ফিফটি তুলে নিয়েছেন লিটন দাস। এরপর অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন তামিমও। এ জুটির ব্যাট থেকে আসে ১৩১ রান।
ফিফটির পর অবশ্য নিজের ইনিংস খুব বেশি লম্বা করতে পারেননি লিটন। ম্যাচের ২১তম ওভারে হেমন্তর বলে পাথিরানাকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৬১ রান করেন এ ডানহাতি ব্যাটার।
তার বিদায়ে উইকেটে আসেন টাইগার দলপতি মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর মিরাজের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন তামিম।
দৃষ্টিনন্দন সব শটে মাঠের চারপাশ থেকে রান তুলতে থাকেন তামিম। অবশ্য সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। লাহিরু কুমারার বলে আসালঙ্কার তালুবন্দী হন তিনি। আউট হওয়ার আগে ২ ছক্কা ও দশ বাউন্ডারিতে ৮৪ রান করেন এ বাঁ-হাতি ব্যাটার।
এরপর বাইশ গজে আসেন তাওহীদ হৃদয়। তবে উইকেটে এসেই সাজঘরের পথ ধরেছেন। ম্যাচের ২৯তম ওভারের চতুর্থ বলে ওয়েল্লালাগের ঘূর্ণিতে স্ট্যাম্পিং হন তিনি। এতে শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরেন তিনি।
পরে ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলীয় ইনিংস এগিয়ে নেন মিরাজ। এরপর অর্ধশতক তুলে নেন টাইগার দলপতি মিরাজ। শেষমেষ এ জুটির ব্যাট থেকেই বড় জয় পায় চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।
এদিন শ্রীলংকার হয়ে একটি করে উইকেটে নেন ওয়েল্লালাগে, কুমারা ও হেমন্ত।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলংকা দলপতি দাসুন শানাকা। পরে লংকানদের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল পেরারা। ম্যাচের শুরু থেকেই টাইগার বোলারদের ওপর চড়াও হন এ দুই ব্যাটার। তবে ম্যাচের দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে রিটায়ার্ড হার্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন কুশল পেরারা।
এরপর বাইশ গজে আসেন কুশল মেন্ডিস। উইকেটে এসেই মাঠের চারপাশ থেকে রান তুলতে থাকেন তিনি। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই নাসুমের ঘূর্ণিতে শান্তকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন এ ডানহাতি ব্যাটার। আউট হওয়ার আগে ২২ রান করেন মেন্ডিস।
পরে ক্রিজে আসেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। তবে উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই মাহেদীর শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। এরপর অর্ধশতক তুলে নেন নিশাঙ্কা।
ম্যাচের ২০তম ওভারের শেষ বলে নিশাঙ্কাকে নিজের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান মাহেদী। আউট হওয়ার আগে ৬৮ রান করেন তিনি।
নিজের ষষ্ঠ ওভার বোলিং করতে এসে ম্যাচে তৃতীয় উইকেটের দেখা পান শেখ মাহেদী। এবার তার শিকার চারিথ আসালঙ্কা (১৮)।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে লংকানরা। দলের হাল ধরতে বাইশ গজে আসেন লংকান দলপতি দাসুন শানাকা। কিন্তু নিজের ইনিংস বড় করার আগেই উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন তিনি।
উইকেটে থিতু হয়েও নিজের ইনিংস লম্বা করতে পারেননি দিমুথ করুনারত্নেও। রিয়াদের থ্রোতে রান আউট হওয়ার আগে ২৭ বলে ১৮ করেন এ বাঁ-হাতি ব্যাটার। এর পরেই মিরাজকে উইকেট দিয়ে ফেরেন অর্ধ শতক তুলে নেয়া ধনঞ্জয় ডি সিলভা (৫৫)।
ম্যাচের ৪৮তম ওভারের তৃতীয় বলে ওয়েল্লালাগেকে রান আউট করে সাজঘরের পথ দেখান মুশফিক। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে হেমন্তর ছোট্ট ক্যামিওতে লংকানদের ইনিংস থামে ২৬৩ রানে।
এদিন বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন শেখ মাহেদী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।