বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : ন্যাশনাল রোমিং যুগে প্রবেশের মাধ্যমে ডিজিটাল সংযুক্তি সম্প্রসারণে আরো একটি মাইলফলক স্থাপন করল বাংলাদেশ। বাংলালিংক এবং টেলিটক দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় রোমিং ফিল্ড ট্রায়াল চালু করেছে। এই ব্যবস্থায় বাংলালিংক ও টেলিটক গ্রাহকরা কোনো স্থানে তাদের ব্যবহৃত নেটওয়ার্ক দুর্বল বা অনুপস্থিত হলে সেখানে অন্য অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে তারা দেশের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবার সুযোগ পাবেন।
আপাতত এই ব্যবস্থার সীমিত পর্যায়ের ফিল্ড ট্রায়াল উদ্বোধন করা হয়েছে। পরে এটি বাণিজ্যিকভাবে চালু হবে।
গতকাল মঙ্গলবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় রোমিং ফিল্ড ট্রায়ালের উদ্বোধন করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলালিংকের সিইও এরিক অস এবং টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, টেলিটক সারা দেশে বাংলালিংকের ১৫ হাজারের বেশি সাইট ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক কাভারেজ সম্প্রসারণ করার সুযোগ পাবে। অপরদিকে বাংলালিংকও টেলিটকের প্রায় ৬ হাজার টাওয়ার ব্যবহার করে লাভবান হবে।
প্রথম পর্যায়ে দেশের নির্দষ্টি কিছু এলাকায় পোস্ট-পেইড ভয়েস এবং এসএমএস সেবা পরীক্ষা করা হবে। পরবর্তী পর্যায়ে প্রিপেইড সেবা ও ডেটা পরীক্ষা করে দেখা হবে।
ভারত, থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, পর্তুগাল, স্পেন, নেদারল্যান্ড, ইতালি ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ পৃথিবীর ২২টি দেশে ন্যাশনাল রোমিং চালু রয়েছে। এটি গ্রাহক এবং অপারেটরের জন্য অত্যন্ত লাভজনক একটি পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃত।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, জাতীয় জীবনে ডিজিটাল সংযুক্তির সম্প্রসারণে আরো একটি নতুন মাইলফলক স্থাপন করল বাংলাদেশ। তিনি বলেন, এমন একটি দিনের জন্য সুদীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা ছিল। গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনায় একদেশ এক রেট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রবর্তন, দেশের ৯৮ ভাগ এলাকায় ফোরজি মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড সুবিধা পৌঁছে দেওয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরেন মন্ত্রী।
বাংলালিংকের সিইও এরিক অস বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার সাথে যুদ্ধের আগে ন্যাশনাল রোমিং চালু হওয়ায় যুদ্ধের ভয়াবহতার সময় তা গ্রাহকদের নেটওয়ার্ক সচল রাখার ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখছে। বাণিজ্যিকভাবে চালু হলে এটি উভয় অপারেটরের গ্রাহকদের দেশব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন ও উচ্চ মানের নেটওয়ার্ক ব্যবহারের অভিজ্ঞতা দেবে।
টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, এই ফিল্ড ট্রায়ালের সফল বাস্তবায়ন শুধু আমাদের সেবাগুলিকে উন্নত করবে না, বরং ভবিষ্যতে বিভিন্ন খাতের মধ্যে অংশীদারিত্ব ও নানা ধরনের সুযোগের পথ প্রশস্ত করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।