জুমবাংলা ডেস্ক : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, সকল নাগরিককে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সোচ্চার হতে হবে। সবাই মিলে কাজ করলে উগ্রবাদ নিরসন করা সম্ভব। জঙ্গিবাদ যে অপরাধ, সে বিষয়ে মসজিদ-স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা-বিশ্বিদ্যালয় ও সমাজের সর্বস্তরে প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে উন্নতি অর্জন করে যাচ্ছে। ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৪৩তম যা প্রমাণ করে যে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদ দমনে ভালো অবস্থানে রয়েছে।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে ‘উগ্রবাদ প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য অংশীজনের ভূমিকা’ শীর্ষক সচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
সিনিয়র সচিব বলেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতার আসার পর জঙ্গিদমনে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। সরকারের আন্তরিকতা ও গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বর্তমানে জঙ্গিবাদ যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সিটিটিসি তথা বাংলাদেশ পুলিশের নিরলস প্রচেষ্টার কারণে সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। পুলিশের একার পক্ষে জঙ্গিবাদ প্রশমন করা সম্ভব নয়। নতুন করে যেন কোনো উগ্রবাদের উদ্ভব না ঘটে সে জন্য সকলে মিলে কাজ করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, এই দেশটা সকলের, আমরা বাংলাদেশকে উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত হতে দিতে পারি না। এটা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব। হ্যালো কেএমপি অ্যাপসের মাধ্যমে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও নাশকতাসহ যে কোনো তথ্য দিয়ে আপনারা পুলিশকে সহায়তা করতে পারেন। আমাদের তথ্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার দপ্তরের উপপরিচালক মোঃ ইউসুপ আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার, কেসিসির প্যানেল মেয়র এসএম রফিউদ্দিন আহম্মেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবির ও খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তৃতা করেন কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ আসাদুজ্জামান।
বিশেষ বক্তা ছিলেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। সভায় খুলনা সরকারি ব্রজলাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শরীফ মোঃ আতিকুজ্জামান, ফুলতলা আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আ স ম আব্দুর রহিম, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এসএম খুরশিদ আহম্মেদ ও পুলিশিং কমিটির সদস্য নদী ইসলাম রোজী।
সচেতনতামূলক সভায় খুলনা জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, কেসিসি’র কাউন্সিলর, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মহিলা সদস্য, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, আলেম সমাজ, ইমাম, মুয়াজ্জিন, স্কুল-কলেজ-বিশ্বিদ্যালয়-মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কমিউনিটি পুলিশিংসহ ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মীরা অংশ নেন।
খুলনা জেলা প্রশাসন, মেট্রোপলিটন পুলিশ ও জেলা পুলিশের সহযোগিতায় বাংলাদেশ পুলিশ সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ঢাকা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।