জুমবাংলা ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অন্তেইনেত এম সায়েহ বলেছেন, বাংলাদেশ বর্তমানে কোনো সংকটে নেই। তবে আসন্ন অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ আইএমএফের সহায়তা চেয়েছে। আইএমএফও তার সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ সফররত এম সায়েহ এসব কথা বলেন।
ঢাবি অর্থনীতি বিভাগের আমন্ত্রণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠানে সায়েহ যোগ দেন। অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাসুদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় আইএমএফের ডিএমডি এম সায়েহ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে লিখিত বক্তব্য দেন সায়েহ। এরপর আইএমএফের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাকে প্রশ্ন করেন। জবাবে সায়েহ বলেন, ব্যয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয়কে বেশি প্রাধান্য দিতে হয়। যে জায়গায় টাকা ব্যয় নিরাপদ তা খুঁজে বের করতে হয়।
ভর্তুকির বিষয়ে তিনি বলেন, কিছু ভর্তুকি গরিবদের সাহায্য করে না। বরং ধনীরা উপকৃত হয়। ভর্তুকি হতে হবে- টার্গেটেড এবং তা যেন গরিবদের সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভর্তুকির ভালো চর্চা আছে। কারণ এটা কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং প্রয়োজন ও পরিস্থিতি বুঝে তা ব্যয় করা হয়। একইসঙ্গে এমন ভর্তুকি কমাতে হবে- যা খারাপ উদ্দেশ্যে দেওয়া হয় এবং গরিবদের সাহায্য করে না। মুদ্রাস্ফীতির চাপ কমানোর জন্যই শুধু ভর্তুকি কমানোর কথা বলা হয়নি। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সক্ষমতা উন্নয়নে আমরা টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেব।
আইএমএফের শর্তের বিষয়ে জানতে চাইলে এম সায়েহ বলেন, শর্তগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয় যাতে তারা জানতে পারে প্রকৃতপক্ষে কী করতে হবে। এগুলো পূর্বনির্ধারিত এবং কোনোভাবেই একপাক্ষিক নয়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে শর্ত ঠিক করা হয়। আর এগুলো ইতোমধ্যে অনেক দেশে প্রয়োগ করে তার খারাপ ও ভালো উভয় দিকই যাচাই করা হয়েছে। এসব কারণেই শর্তও প্রয়োজন।
এর আগে দুপুরে ঢাবি ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন সায়েহ। এ সময় তিনি ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।