আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অভিনব কায়দায় প্রতিনিয়ত নানা ধরণের মাদক প্রবেশ করছে বাংলাদেশে। মাদকের মধ্যে রয়েছে ইয়াবা, ক্রিস্টালমেথ (আইস), মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল ইত্যাদি। র্যাব সূত্র জানায়, এসব মাদক এদেশ থেকে আশপাশের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে বাইরের দেশগুলোতে মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে কারবারিরা।
গেল দুই সপ্তাহর মধ্যে কক্সবাজারে দেশের সর্ববৃহৎ ক্রিস্টালমেথের (আইস) চালান জব্দ করেছে র্যাব ও বিজিবি। ২৬ এপ্রিল কক্সবাজারের উখিয়া পালংখালী থেকে ২১ কেজি ৯০ গ্রাম আইস জব্দ করেছে ৩৪-বিজিবি। এর ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় একই ইউনিয়ন থেকে আজ শুক্রবার (৭ মে) ২৪ কেজি ২০০ গ্রাম আইস জব্দ করেছে র্যাব-১৫। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১২০ কোটি টাকা। দুই অভিযানে ৭ জনকে আটক করা হয়। তারা একে অপরের আত্মীয়।
র্যাব যাদের আটক করে তাদের মধ্যে ইমরান ওরফে ইরান মাঝি (৩৩), রুবেল ওরফে ডাকাত রুবেল (২৬) একে অপরের ভাই। আলাউদ্দিন (৩৫) চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য। বিজিবির হাতে আটক রুজরুছ মিয়া আলা উদ্দিনের স্ত্রীর বড় ভাই। মাদক কারবারিরা একে অপরের আত্মীয় ও চেনা-জানা ব্যক্তি। এরা দেশ ও দেশের বাইরে মাদক সিন্ডিকেটের সাথে যোগসাজশে মাদকদ্রব্য ছড়াচ্ছে বলে জানা যায়।
র্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘বাংলাদেশে মাদক উৎপাদন করে না। কিন্তু এদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে মাদক কারবারিরা। মাদক ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময় মাদকের ধরণ ও রং পরিবর্তন করছে। যারা মাদক সেবন করে তাদের চাহিদার ভিত্তিতে এসব মাদক আশপাশের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘র্যাব ফোর্সেস এ পর্যন্ত ৩০টির অধিক ক্রিস্টালমেথ জব্দের অভিযান পরিচালনা করেছে। দেশে এখনো ইয়াবার মতো ছড়িয়ে পড়েনি। ক্রিস্টালমেথ যেহেতু সহজে বহনযোগ্য মাদক, ছোট একটি কাগজে করেও বেশি ক্রিস্টালমেথ বহন করা যায়। তাই কারবারিরা ক্রিস্টালমেথ অন্যদেশ থেকে প্রবেশের চেষ্টা করছে। তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘দিন দিন যেভাবে মাদক ছড়িয়ে যাচ্ছে তাতে ভবিষ্যত অন্ধারের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এভাবে মাদক চারদিকে ছড়িয়ে পড়া পুরো জাতির জন্য অশনি সংকেত। প্রতিদিন র্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনী যেভাবে অভিযান চালিয়ে মাদক জব্দ করছে তা অত্যন্ত ভালো দিক। এসব অভিযানে যে কারবারিরা আটক হয় তাদের নিবীড় জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে গড ফাদারদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা উচিত বলে মনে করি। সেই সাথে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতেও মাদকের ব্যাপারে অভিযান জরুরি।’
নেট দুনিয়ায় ঝড় তুললো এই ওয়েব সিরিজ, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে সবসময় অভিযান রয়েছে আমাদের। সীমান্ত বা যেকান থেকে হোক না কেন, মাদক প্রবেশ এবং মাদক কারবারের বিরুদ্ধে পুলিশের অবস্থান কঠোর রয়েছে। কক্সবাজার জেলা পুলিশের সকল সদস্য এ বিষয়ে খুবই সতর্ক এবং তৎপর রয়েছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।