স্পোর্টস ডেস্ক : ঘরের মাঠে বিশাল লক্ষ্য। বছরে নিজেদের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। রান তাড়া করতে নেমে খাতা খোলার আগেই লিটনের বিদায়। পাওয়ার প্লে-তে নেই ৩ উইকেট। ম্যাচ হার তখন চোখ রাঙাচ্ছে বাংলাদেশকে।
এমন ধ্বংসস্তুপ থেকে ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার বিদায়ের পর দলের হাল ধরলেন জাকের আলী। অভিষেকে এমন ইনিংস খেললেন, যা সবার হৃদয়ে থাকবে বহুদিন। যদিও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-২০তে প্রথমে ব্যাট করে তিন উইকেটে ২০৬ রান সংগ্রহ করে শ্রীলংকা। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ২০৩ রান করে বাংলাদেশ। টাইগারদের হার ৩ রানে।
প্রায় হারতে বসা ম্যাচে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে আসেন রিয়াদ ও জাকের। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১২ রান। দাসুন শানাকার করা প্রথম বলে আউট হন রিশাদ। পরের বলে সিঙ্গেল নেন তাসকিন। এর আগের ডেলিভারি ছিল ওয়াইড।
বাংলাদেশের হয়ে রান তাড়া করতে নামেন লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের করা প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে ভুল শট খেলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। কোনো রানই করতে পারেননি তিনি।
সৌম্য সরকারও আজ ১২ রানের বেশি করতে পারেননি। বিপিএলে দারুণ ফর্মে থাকা তাওহীদ হৃদয় ফিরেছেন ৮ রানে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ২০ রান করেন। একপ্রান্ত আগলে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
সাজঘরে ফেরার আগে ৩১ বলে ৫৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন রিয়াদ। তার বিদায়ের পর সিলেটে ঝড় তোলেন জাকের আলী। অভিষেকে মাত্র ২৫ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন তিনি। লড়াই চালিয়ে যান শেষ পর্যন্ত।
মাঝে মাহেদী হাসানকে নিয়ে গড়েন ৬৫ রানের দুর্দান্ত জুটি। মাহেদী ফিরলেও দলকে একাই এগিয়ে নিতে থাকেন জাকের। শেষ ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে ৩৪ বলে ৬৮ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলেন অভিষিক্ত এ ব্যাটার।
এর আগে আজ টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। শ্রীলংকার হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন আভিষ্কা ফার্নান্দো ও কুশল মেন্ডিস। শরিফুল ইসলামের করা প্রথম বলেই চার হাঁকান আভিষ্কা।
অবশ্য পরের বলেই উইকেটের পিছে ধরা পড়েন আভিষ্কা। শুরুর ধাক্কা সামলে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন কামিন্দু মেন্ডিস। ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে তাকে সৌম্য সরকারের তালুবন্দী করেন তাসকিন আহমেদ। কামিন্দু ফেরেন ১৯ রানে।
শুরুতেই দুই উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা। যেখানে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন মেন্ডিস। দ্বাদশ ওভারে রিশাদ হোসেনের পর পর দুই বলে ছয় হাঁকিয়ে ফিফটি পূরণ করেন এ ব্যাটার।
দারুণ খেলতে থাকা মেন্ডিসকে ফেরান সেই রিশাদই। এর আগে ৫৯ রান করেন লংকান ওপেনার। একইসঙ্গে ভাঙ্গে সামারাবিক্রমার সঙ্গে তার ৯৬ রানের জুটি। ইনিংসের পরের গল্প সামারাবিক্রমা আর চারিথ আসালঙ্কার।
শেষদিকে অবিচ্ছেদ্য ৭৩ রানের জুটি গড়েন সামারাবিক্রমা ও আসালঙ্কা। যেখানে দারুণ এক অর্ধশতকের দেখা পান সামারাবিক্রমা। তিনি ৬১ ও আসালঙ্কা ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন। তাসকিন, শরিফুল ও রিশাদ একটি করে উইকেট নেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।