স্পোর্টস ডেস্ক : ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। সিরিজ জয় নিশ্চিত হওয়ার পর আজ হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭৪ রানে হেরে গেল টাইগাররা। সিরিজে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে লিটন দাসের দল।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) মিরপুর শেরে-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন কুমার দাস।
এই সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে মিরপুরের মাঠ যেন ছিল বোলিং বান্ধব উইকেট। কিন্তু শেষ ম্যাচে পাকিস্তান যখন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছে তখন মিরপুরের পিস হয়ে উঠল ব্যাটিং বান্ধব উইকেট।
পাকিস্তানের দুই ওপেনার ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতে তুলে নেন ৫৭ রান। সাহিবজাদার ফিফটিতে ২০ ওভারে ১৭৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশকে ১৭৯ রানের টার্গেট দেয় পাকিস্তান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় শূন্য রানে টাইগার ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তামিম ফিরলে ক্রিজে আসেন লিটন কুমার দাস। তবে দলের প্রয়োজনে এদিন ব্যাট হাতে কিছুই করতে পারেনি টাইগার অধিনায়ক।
দলীয় ১০ রানের মাথায় ফাহিম আশরাফের বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন। আউট হওয়ার আগে ১ চারে ৮ বলে ৮ রান সংগ্রহ করেন লিটন।
লিটন আউট হয়ে বাংলাদেশ যখন চাপে পড়ে তখনি মাত্র ১৫ রানের ব্যবধানে আরও ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। দলীয় রান যখন স্কোরবোর্ডে ২৫ তখনি বাংলাদেশের নেই ৫ উইকেট।
২৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে যখন চরম চাপে বাংলাদেশ। তখন বাংলাদের শেষ ভরসা ছিল শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও মোহাম্মদ নাইম। কিন্তু এদিন তারাও পারলেন না। ব্যাট হাতে তারাও হলেন ব্যর্থ।
দলীয় ৪১ রানের মাথায় শামীম ও মোহাম্মদ নাইমের উইকেট হারিয় বসে বাংলাদেশ। নাঈম- শামীম যখন আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তখন বাংলাদেশে স্কোরন ৪১ রানে ৭ উইকেট।
একটা সময় মনে হচ্ছিল ৫০ রানের আগেই অলআউট হয়ে যাবেন টাইগাররা। তবে শেষদিকে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ব্যাটে ৫০ রানের আগে অলআউটের শঙ্কামুক্ত হয় বাংলাদেশের।
শেষ পর্যন্ত সাইফুদ্দিনের ব্যাটে ১০ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। এবং ৭৪ রানে সিরিজের শেষ ম্যাচে জয়লাভ করে পাকিস্তান।
এদিন প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের হয়ে ব্যাট হাতে ৪১ বলে ৬৩ রান করেন সাহিবজাদা ফারহান, ১৭ বলে ৩৩ রান করেন হাসান নওয়াজ, ১৬ বলে ২৭ রান করেন মোহাম্মদ নওয়াজ, ৯ বলে ১২ রান সংগ্রহ করেন সালমান আগা।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে এ দিন তিন উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ, ২ উইকেট নেন নাসুম আহমেদ, ১টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট হাতে ৩৪ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন সাইফউদ্দিন। এছাড়া আর কেউই পারেননি ১০ রানে ওপরে স্কোর করতে।
পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে তিন উইকেট নেন সালমান মির্জা, ২টি করে উইকেট নেন ফাহিম আমরাফ ও মোহাম্মদ নেওয়াজ। এবং ১টি করে উইকেট নেন আহমেদ দানিয়াল, হুসেইন তালাত ও সালমান আগা।
ম্যাচের ফলাফল: পাকিস্তান ৭৪ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ:
ম্যান অব দ্য সিরিজ:
সিরিজ ফলাফল: বাংলাদেশ ২ ম্যাচ জয় এবং পাকিস্তান ১ ম্যাচ জয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।