জুমবাংলা ডেস্ক : নৌবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে ১৩ তরুণীকে বিয়ে করার অভিযোগে মো. মহিদুল ইসলাম মইদুল (২৭) নামে এক যুবক ও কুদ্দুস আলী (৩৫) নামে তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। মইদুলকে গ্রেপ্তার খবর পেয়ে তার ৬ স্ত্রী উপস্থিত হন থানায়।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভুঁঞা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তার মইদুল মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তার সহযোগী কুদ্দুস আলী ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার নগুয়া গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভুঁঞা বলেন, সম্প্রতি ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা থেকে এক তরুণী ও তার স্বজনরা এসে মহিদুলের প্রতারণার বিষয়টি আমাকে জানায়। পরে ঘটনাটি তদন্তে নেমে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, প্রতারক মহিদুল নৌবাহিনীতে এমএলএস পদে চাকরি করতেন। সেখানে দুই বছর চাকরি করার পর বিভিন্ন কারণে চাকরিচ্যুত হয়। এরপর থেকে তিনি নৌবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে মোট ১৩টি বিয়ে করেন। এর মধ্যে মানিকগঞ্জ ৩টি, টাঙ্গাইলে ৩টি, কিশোরগঞ্জে ১টি এবং ময়মনসিংহে ৬টি বিয়ে করেন। এদের মধ্যে এক প্রতিবন্ধী নারীও রয়েছেন।
এসপি আরও বলেন, মহিদুল বিয়ে করার কৌশল হিসেবে মানিকগঞ্জে পদ্মার চড়ে তার বাড়ি ছিল বলে প্রচার করতেন। সেখানে পদ্মার ভাঙনে মা-বাবাসহ সব হারিয়ে নিঃস্ব বলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেন। এভাবেই তিনি মানুষের সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে একের পর এক মোট ১৩টি বিয়ে করে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
নীল সিনেমায় অভিনয়ে থাকতে হয় বিশেষ ধরনের দক্ষতা, জানালেন সানি
২০১৬ সালে নৌবাহিনীতে চাকরি করার সময় পোশাক পরিহিত অস্ত্রসহ মহিদুলের কিছু ছবি জব্দ করা হয়েছে। মহিদুল ইসলামের গ্রেপ্তারের খবরে তার ৬ স্ত্রী উপস্থিত হয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই টাকা উদ্ধার ও মহিদুল ইসলামের বিচার দাবি করেন। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।