স্পোর্টস ডেস্ক : শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয় পেলেই সিরিজ জয়ের পাশাপাশি ইতিহাস গড়া হতো বাংলাদেশের। নুয়ান তুশারার এক ওভারেই বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। নিজের করা প্রথম ওভারে শান্ত, হৃদয়, মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন তিনি।
রিশাদের ঝোড়ো ফিফটিতে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ১৯.৪ ওভারে ১৪৬ রান করলেও ২৮ রানের পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় স্বাগতিকদের। শেষ টি-টোয়েন্টি জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের নেয় সফরকারীরা।
এদিন টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে শ্রীলঙ্কা পায় মাত্র ১৮ রান। তাসকিনের বলে সৌম্যর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। এরপর দলীয় ৫২ রানে তুলে নেন রিশাদ হোসাইন। তবে অন্যপ্রান্তে কুশল মেন্ডিস টাইগার বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরাতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ৫৫ বলে ৬ ছক্কা ও সমান চারে ৮৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেন। তাকে দলীয় ১৪০ রানে বিদায় করেন তাসকিন আহমেদ।
শেষ দিকে দাশুন শানাকার ৯ বলে ১৯ রানের ছোট্ট ক্যামিওতে ১৭৪ রানে গিয়ে থাকে লঙ্কানরা। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন ও রিশাদ ২টি করে উইকেট তুলে নেন। শরিফুল ও মুস্তাফিজ নেন একটি করে উইকেট।
১৭৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ অপেক্ষায় ছিল বড় হারের জন্য। সেখান থেকেই যেন ঘুরে দাঁড়ানোর সংগ্রাম করলেন রিশাদ। প্রথমে শেখ মেহেদি হাসানকে নিয়ে শুরু করলেন টিকে থাকার লড়াই। এরপর তাসকিন আহমেদের সঙ্গে আরেকটা বড় জুটি।
বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন এই লেগস্পিনার। তবে দলকে জেতানোর মত পর্যাপ্ত সময় হাতে ছিল না রিশাদের। বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন। তাতে নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের হারও। তাসকিন নিজেও চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ব্যাটাররা যেদিন ব্যর্থ, সেদিন শেষের ঝড়টাও টাইগারদের দিতে পারেনি জয়ের সুবাস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।