স্পোর্টস ডেস্ক : একের পর এক ব্যাটারের আসা-যাওয়ার মিছিল। বাংলাদেশের ইনিংস হারেরই শঙ্কা জেগেছিল এক পর্যায়ে। তবে সেটি হতে দিলেন না নুরুল হাসান সোহান ও সাকিব আল হাসান।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ দল। ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৭১ রান। ৫৪ বলে সাকিব ৩৪ ও নুরুল হাসান সোহান অপরাজিত আছেন ৬৩ বলে ২৬ রান করে।
দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নামে বাংলাদেশ। দ্রুতই হারিয়ে ফেলে ওপেনার তামিম ইকবাল ও তিন নম্বরে খেলতে নামা মেহেদী হাসান মিরাজের উইকেট।
৫০ রানে ২ উইকেট নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেন নাজমুল হাসান শান্ত ও মাহমুদুল হাসান জয়। ১১২ রানে পিছিয়ে থেকে খেলতে নামা বাংলাদেশের ব্যাটারদের দরকার ছিল ধৈর্য ও স্থিরতা।
কিন্তু নাজমুল হাসান শান্ত করেন তার উল্টোটা। আক্রমণাত্মক খেলে দুটি বাউন্ডারিও হাঁকান তিনি। কিন্তু কাইল মেয়ার্সের কাছে শেষ অবধি পরাস্ত হতে হয়েছে তাকে।
টানা পাঁচ বল আউট সুইং করে শেষ বলটি ভেতরে ঢুকান মেয়ার্স। ওই বলে শট খেলতে গিয়ে উইকটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন শান্ত। ৪৫ বলে ১৭ রান করে ফেরেন সাজঘরে।
এরপর ক্রিজে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি মুমিনুল হকও। মেয়ার্সের গুড লেন্থের বল ডিফেন্ড করতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে পারেননি মুমিনুল, বল লাগে তার প্যাডে। আম্পায়ারের এলবিডব্লিউয়ের সিদ্ধান্ত রিভিউ নিয়েও বদলাতে পারেননি মুমিনুল।
৫ নম্বরে খেলতে নামা লিটন কুমার দাস বেশ আত্মবিশ্বাসী শুরুই করেছিলেন। হাঁকিয়েছিলেন তিনটি বাউন্ডারিও। কিন্তু ১৫ বলে ১৭ রান করে তিনিও স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হন কেমার রোচের বলে।
মধ্যাহ্নভোজের আগে বাংলাদেশের হতাশাটা আরও বাড়ান মাহমুদুল হাসান জয়। উইকেটের অন্য প্রান্তে ব্যাটারদের আসা-যাওয়া থাকলেও জয় ছিলেন বেশ স্থির। কিন্তু তিনিও শেষ অবধি উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েই আউট হন। এর আগে ১৫৩ বলে ৪২ রান করেন তিনি। এরপরই দলের হাল ধরেছেন সাকিব ও সোহান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।