জুমবাংলা ডেস্ক : মন্দার শঙ্কার মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নে রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধিতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প। ইউরোস্ট্যাটের এমন তথ্যের পর ক্রেতার আস্থা অর্জন করা উদ্যোক্তারা বলছেন, এবার লক্ষ্য চীনকে পেছনে ফেলে শীর্ষ রফতানিকারক দেশ হওয়া।
বিশ্বসেরা ১০০টি তৈরি পোশাক কারখানার মধ্যে ৫১টিই বাংলাদেশের। উৎপাদন পর্যায়ে এমন বিনিয়োগের পর প্রতিযোগিতার বাজার দখলেও বর্তমানে বেশ আত্মবিশ্বাসী দেশের উদ্যোক্তারা।
ক্রেতার আস্থা অর্জনের সেই প্রতিচ্ছবিই উঠে এসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক রফতানির হালনাগাদ তথ্যে। ইউরোস্ট্যাটের তথ্যানুযায়ী, গত বছরের প্রথম ১১ মাসে মোট ৯৫ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
বছর ব্যবধানে এই বাজার দখলে ৩৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে মেইড ইন বাংলাদেশ। সেখানে সর্বোচ্চ পোশাক রফতানিকারক দেশ চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ দশমিক ২৯ শতাংশ, যা বাংলাদেশের তুলনায় অর্ধেক।
এই প্রবৃদ্ধিতে ভর করে এবার চীনকে টপকে যেতে আত্মবিশ্বাসের কথা জানান উদ্যোক্তারা।
বিকেএমইএ-র সহসভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, ইউরোপের বাজারে আস্থার জায়গা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। এই ধারা অব্যাহত থাকলে একসময় বাংলাদেশ ইউরোপে সবচেয়ে বেশি গার্মেন্টস পণ্য রফতানিকারক দেশ হবে।
এদিকে শীর্ষস্থান দখলের স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে বড় শক্তি মনে করেন তারা। তবে পণ্য তৈরিতে কৌশলী হওয়ার তাগিদ তাদের।
অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর বলেন, ক্রেতারা বাজার যাচাই-বাছাই করেই নির্ভরযোগ্য অংশীদার খুঁজে থাকেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের উচিত গার্মেন্টস খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো।
এ ছাড়া সরকারের সহজ শর্তে ঋণ দেয়া উচিত দাবি করে এ খাতের বিকাশে বিশেষ তহবিল গঠনের তাগিদ দেন তিনি। পাশাপাশি ম্যানমেড ফাইবারে গুরুত্ব দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে চীন থেকে সরে আসা বিনিয়োগ আকর্ষণে উদ্যোগী হতে হবে সরকারকে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় অর্ধেক রফতানি আয় নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে তৈরি পোশাক বিক্রিতে তৃতীয় স্থানে রয়েছে তুরস্ক। এ ছাড়া অন্যান্য শীর্ষ সরবরাহকারী দেশের মধ্যে রয়েছে কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, মরক্কো, শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়া।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।