বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন বিস্ময়বালক কাইরান কাজী সম্প্রতি স্পেসএক্সের চাকরি ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক ধনকুবের ইলন মাস্ক।
কাইরান কাজীর স্পেএক্সের চাকরি ছাড়া এবং ওয়ালস্ট্রিটের সিটাডেল সিকিউরিটিজে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফরচুন ম্যাগাজিন। গত ২০ আগস্ট ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে এক্সে অনেকে ইলন মাস্ককে প্রশ্ন করেন। ঘটনা সত্যি কিনা তার কাছে অনেকে জানতে চান।
জবাবে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া পোস্টে কাইরান সম্পর্কে ইলন বলেন, ‘এই প্রথম আমি তার বিষয়ে শুনেছি।’
মাত্র ১৪ বছর বয়সে ২০২৩ সালে কাইরান কাজী স্পেসএক্সে যোগ দেয়। সে তখন স্পেসএক্সকে ‘অনন্য কোম্পানি’ হিসেবে আখ্যা দেয়। যারা তার বয়সকে ‘পরিপক্বতা ও সক্ষমতার ক্ষেত্রে কোনো আবেগনির্ভর ও পুরোনো মানদণ্ড’ দিয়ে দেখেনি। এখন তিনি নিউইয়র্কের আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিটাডেল সিকিউরিটিজে একজন ডেভেলপার হিসেবে যোগ দেবেন।
কাইরান কাজী বিজনেস ইনসাইডারকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘স্পেসএক্সে দুই বছর কাটানোর পর আমি নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ এবং একটি ভিন্নধর্মী উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন পরিবেশে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য নিজেকে প্রস্তুত মনে করেছি। এক্ষেত্রে কোয়ান্টিটেটিভ ফাইন্যান্স এক বিরল সমন্বয়ের সুযোগ সামনে দিয়েছে; যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) গবেষণার মতো জটিল ও বুদ্ধিবৃত্তিক চ্যালেঞ্জ আছে, তবে আরও অনেক দ্রুততার সঙ্গে। সিটাডেল সিকিউরিটিজে আমি মাস কিংবা বছর নয়, কয়েক দিনের মধ্যে দৃশ্যমান প্রভাব দেখতে পারব।’
কে এই কাইরান কাজী
কাইরান কাজী ১৬ বছর বয়সি একজন প্রতিভাবান কিশোর। সান্তা ক্লারা ইউনিভার্সিটির ১৭০ বছরের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ স্নাতক। মাত্র ১৪ বছর বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি নেয়। এর পরপরই ইলন মাস্কের স্পেসএক্সে সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেয়।
লসঅ্যাঞ্জেলস টাইমস জানিয়েছে, খুব ছোট বয়সেই সংবাদ এবং বর্তমান ঘটনার প্রতি কাজীর প্রতিভার ঝলক দেখা গেছে। দুই বছর বয়স থেকেই সে পূর্ণাঙ্গ বাক্যে কথা বলতে পারত। কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর সে রেডিওতে শোনা গল্প বন্ধুদের কাছে বলতো।
তৃতীয় শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় যখন তার মনে হয় স্কুলের পড়াশোনা অতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল না, তখন তার বাবা-মা ক্যালিফোর্নিয়ার এক কমিউনিটি কলেজে তাকে ভর্তি করে দেন। তখন তার মনে হয়, সেই বয়সে যা শেখা দরকার, সে তখন তাই শিখতে পারছে। এরপর ১১ বছর বয়সে সে সান্তা ক্লারা বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হয়।
স্পেসএক্সে কাইরান কাজীর ভূমিকা তাকে প্রযুক্তি খাতে অন্যতম কম বয়সী প্রকৌশলী রূপে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি ও স্বীকৃতি এনে দিয়েছে এবং দেখিয়েছে যে বয়স কম হলেও উদ্ভাবনের সর্বোচ্চ স্তরের কাজ করার কতটা ক্ষমতা সে রাখে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।