Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home আমেরিকায় আলো ছড়াচ্ছেন বাংলাদেশের পদার্থবিজ্ঞানী আতাউল করিম
    জাতীয় পজিটিভ বাংলাদেশ

    আমেরিকায় আলো ছড়াচ্ছেন বাংলাদেশের পদার্থবিজ্ঞানী আতাউল করিম

    Saiful IslamJuly 5, 20245 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশের একজন পদার্থ বিজ্ঞানী আলো ছড়াচ্ছেন আমেরিকায়। যাকে বর্তমান বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের একজন বলে গণ্য করা হয়। বলছিলাম পৃথিবী বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী মোহাম্মদ আতাউল করিমের কথা। যিনি বর্তমানে ‘ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস ডার্টমাউথ’ – এর প্রভোস্ট এবং এক্সিকিউটিভ ভাইস চ্যান্সেলর পদে কর্মরত।

    Ataul Karim

    বিশ্ব বিখ্যাত এই পদার্থ বিজ্ঞানী সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) তিনি সিলেটের কিডনি ফাউন্ডেশনের হাসপাতাল এবং ডায়ালাইসিস সেন্টার পরিদর্শন করতে যান। কিডনি হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা দিনটিকে দেখছেন তাদের ও পুরো সিলেটের জন্য স্মরণীয় দিন হিসেবে।

    সিলেটের কিডনি ফাউন্ডেশন পরিদর্শনে মোহাম্মদ আতাউল করিম

    বর্তমান বিশ্বের আলোচিত এই পদার্থবিজ্ঞানী ১৯৫৩ সালের ৪ মে মৌলভীবাজার জেলার অন্তর্গত বড়লেখা উপজেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা মোহাম্মদ আবদুস শুকুর পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। তার শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল বড়লেখার স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তারপর বড়লেখার হাই স্কুলে পড়াশোনা করেন তিনি।

       

    পদার্থবিজ্ঞানী অধ্যাপক মোহাম্মদ আতাউল করিম ১৯৬৯ সালে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন এবং ৪র্থ স্থান অধিকার করেন। ১৯৭২ সালে সিলেট এমসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। পরে স্নাতক শিক্ষা অর্জনের লক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন তিনি।

    এই পদার্থবিজ্ঞানী ১৯৭৬ সালে বি. এসসি. ডিগ্রি লাভ করার পর উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। স্নাতক অর্জনের পূর্বেই তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হন। কাগজপত্র সহ সবকিছু তৈরি থাকা সত্ত্বেও সেখানে আর যাওয়া হয়নি তাঁর। অনার্স পরীক্ষা শেষ করে ফলাফল আসার আগেই মোহাম্মদ আতাউল ইউনিভার্সিটি অব আলবামাতে ভর্তি হয়ে যান। সেখান থেকে ১৯৭৮ সালে পদার্থবিজ্ঞানে এবং ১৯৭৯ সালে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এম. এসসি. ডিগ্রি লাভ করার পর একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮১ সালে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

    ইউনিভার্সিটি অব আলবামা থেকে পিএইচডি করার পর আতাউল করিম প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার ইতি টানেন। শুরু করেন জীবনের নতুন এক অধ্যায়; নতুন নতুন গবেষণা, শিক্ষকতা, আর বই লেখার কাজে নিমগ্ন হন তিনি। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আরকানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন।

    এরপর ১৯৮৩ সালে তিনি উইচিটা স্টেট ইউনিভার্সিটির তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৮৬ সাল অবধি সেখানে কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৬ সালে তিনি ইউনিভার্সিটি অব ডেইটনে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন, ১৯৯৩ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন তিনি।

    ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ইলেক্ট্রো-অপটিক্স প্রোগ্রামের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর পাশাপাশি ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত এখানে তড়িৎ ও কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন ড. আতাউল করিম।

    তিনি ১৯৯৮-২০০০ সাল অবধি টেনেসি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগে অধ্যাপনা করেন, পরবর্তীতে ২০০০-২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কে তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপনার কাজ করেছিলেন।

    অতঃপর ২০০৪-২০১৩ সাল অবধি ওল্ড ডোমিনিয়ন ইউনিভার্সিটির তড়িৎ ও কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগে অধ্যাপনার কাজে নিযুক্ত হন ড. আতাউল করিম। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৯ বছর অধ্যাপনা ও গবেষণার কাজে দায়িত্বও পালন করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে ২০১৩ সালে তিনি ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস ডার্টমাউথে যোগদান করেছিলেন।

    মোহাম্মদ আতাউল করিম স্কুলে পড়াশোনা করার সময় থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে লেখা শুরু করেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সাল অবধি ‘বিজ্ঞান সাময়িকী’ এবং ‘বাংলা অ্যাকাডেমি বিজ্ঞান’ পত্রিকায় তাঁর ত্রিশটিরও বেশি সংখ্যক লেখা প্রকাশিত হয়েছিল; সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লেখা ছিল ‘বিবর্তন কাহিনী’ এবং ‘সাম্প্রতিক’।

    বিবর্তন কাহিনী’-তে মহাজাগতিক ও জৈবিক বিবর্তন সম্পর্কে ধারাবাহিক আলোচনা করা হয়েছিল। অন্যদিকে, ‘সাম্প্রতিক’ লেখাটির মধ্যে বিজ্ঞানের সমসাময়িক বিষয়গুলোর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। তিনি বিজ্ঞান ভিত্তিক ১৮ টি বই রচনা করেছিলেন।

    এছাড়াও বেশ কিছু বইয়ের পাঠ্যক্রম হিসেবে ৭টি ‘অধ্যায়’ লিখেছিলেন। তাঁর রচিত বইগুলোর মধ্যে Digital Design: A Pragmatic Approach (1987), Electro-Optical Devices and Systems (1990), Optical Computing: An Introduction (1992), Electro-Optical Displays (1992), Continuous Signals and Systems with Matlab (2001, 2009), and Digital Design: Basic Concepts and Principles (2008) ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হয়।

    ব্যক্তিগত জীবন:
    ড. আতাউল করিম ১৯৭৭ সালে তাঁর সহপাঠী সেতারা করিমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। স্ত্রী সেতারা পেশায় ছিলেন একজন জৈব রসায়নবিদ। পারিবারসহ এই দম্পতি ভার্জিনিয়া রাজ্যের ভার্জিনিয়া সমুদ্র সৈকতের নিকটে বসবাস করছেন। বৈবাহিক জীবনে তাঁদের এক ছেলে ও দুই কন্যা সন্তান বর্তমান।

    বাংলাদেশে তাঁর অবদান:
    সুদূর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা সত্ত্বেও নিজের জন্মভূমি বাংলাদেশের জন্যও কাজ করে যাচ্ছেন মোহাম্মদ আতাউল করিম। তিনি বাংলাদেশে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি’ শীর্ষক সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন । বর্তমানে এই সম্মেলনটি দেশের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানী সম্মেলন হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। তিনি বিভিন্ন জার্নালে নিজের লেখার মাধ্যমে বাংলাদেশের যোগাযোগ, মাল্টিমিডিয়া, কম্পিউটিং, নেটওয়ার্ক এবং সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে গবেষণার বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করেছিলেন ।

    তাঁর সম্পাদিত ‘টেকনিক্যাল চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড ডিজাইন ইস্যু ইন বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েজ’ শীর্ষকের বইটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে বর্তমানেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।

    ম্যাগলেভ ট্রেন:
    ড. আতাউল করিম কর্মক্ষেত্রে ১৯৮৭ সাল থেকে বিভিন্ন রকম গবেষণা অবিরতভাবে চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পদার্থবিজ্ঞানী মোহাম্মদ আতাউল করিমের মোট ৩২৭টি গবেষণা রয়েছে ।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ আকর্ষণ দ্রুততম ভাসমান ট্রেন চলাচল প্রযুক্তি বাস্তবায়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। কিন্তু ম্যাগলেভ ট্রেনের গবেষণা সারা বিশ্বে তাঁকে সুপ্রসিদ্ধ করে তোলে। পদার্থবিজ্ঞানী আতাউল করিম ভার্জিনিয়ার নরফোকের ওল্ড ডোমিনিয়ন ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করার সময় ম্যাগলেভ ট্রেন নিয়ে গবেষণা করেছিলেন।

    ওল্ড ডোমিনিয়ন ইউনিভার্সিটির গবেষকগণ প্রায় ৭ বছর ধরে এ ধরনের একটি ট্রেন তৈরির চেষ্টা করেও সাফল্যের দেখা পাননি; পরে ২০০৪ সালে উক্ত গবেষণা প্রকল্পের নেতৃত্ব নেন ড. করিম। এরপর তিনি পরবর্তী দেড় বছরের মধ্যে ট্রেনটির প্রযুক্তি নির্মাণে সাফল্য পান এবং গবেষণায় পরীক্ষামূলকভাবে সক্ষমতা অর্জন করেন।

    এছাড়াও ড. করিমের দুটি আবিষ্কারের প্যাটেন্ট রয়েছে, সেগুলো হল- ফাইবার অপটিক কাপলিং সিস্টেম (১৯৮৯) ও ট্রাইনারি অ্যাসোসিয়েটিভ মেমোরি (১৯৯৩)।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় আতাউল আমেরিকায়: আলো করিম ছড়াচ্ছেন পজিটিভ পদার্থবিজ্ঞানী বাংলাদেশ বাংলাদেশের
    Related Posts
    অঙ্গদান

    অঙ্গদান করতে পারবেন পরিবারের বাইরের দাতারাও, অধ্যাদেশ অনুমোদন

    October 30, 2025

    বিএমএ ‘হল অব ফেইম’-এ অন্তর্ভুক্ত হলেন নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধান

    October 30, 2025
    এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন

    এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সর্বনিম্ন বেতন ৩০ হাজার, পে কমিশনের কাছে প্রস্তাব

    October 30, 2025
    সর্বশেষ খবর
    অঙ্গদান

    অঙ্গদান করতে পারবেন পরিবারের বাইরের দাতারাও, অধ্যাদেশ অনুমোদন

    বিএমএ ‘হল অব ফেইম’-এ অন্তর্ভুক্ত হলেন নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধান

    এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন

    এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সর্বনিম্ন বেতন ৩০ হাজার, পে কমিশনের কাছে প্রস্তাব

    ডিএমপি কমিশনার

    নির্বাচনে পুলিশকে শতভাগ নিরপেক্ষ থাকতে হবে: ডিএমপি কমিশনার

    শাপলা কলি

    ইসির প্রতীক তালিকায় এবার ‘শাপলা কলি’, গেজেট প্রকাশ

    মেট্রোরেল দুর্ঘটনায় নিহত আজাদের স্ত্রী

    মেট্রোরেল দুর্ঘটনায় নিহত আজাদের স্ত্রীকে চাকরি দিচ্ছে ডিএমটিসিএল

    পুলিশ

    অতিরিক্ত উপপুলিশ মহাপরিদর্শক হলেন চার কর্মকর্তা

    রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি ও আর্মি এয়ার ডিফেন্স

    রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি ও আর্মি এয়ার ডিফেন্স কোরের বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

    ‘হ্যাঁ’ ভোটে বিএনপির জন্ম, ‘না’ ভোটে মৃত্যু হবে : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

    Press Sochib

    আগে রয়টার্সে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার পড়ি, পরে মন্তব্য : প্রেস সচিব

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.