জুমবাংলা ডেস্ক : আর্থিক স্বচ্ছলতার আশায় বৈধভাবে মালয়েশিয়ায় গিয়েও নিয়োগকর্তাদের অবহেলায় মাসের পর মাস কর্মহীন অবস্থায় রয়েছেন বাংলাদেশি অনেক শ্রমিক। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে জড়ো হয়ে কাজের দাবি জানিয়েছেন তারা।
মালয়েশিয়ায় গিয়েও নিয়োগকর্তাদের অবহেলায় মাসের পর মাস কর্মহীন অবস্থায় রয়েছেন বাংলাদেশি অনেক শ্রমিক।
দেশের সীমানা পেরিয়ে ভালো আয়-রোজগারের আশায় চার মাস আগে মালয়েশিয়ায় যান প্রায় হাজার খানেক বাংলাদেশি শ্রমিক। অনেকেই নিজের সহায় সম্বল বিক্রি করে, কেউবা আবার চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ করে আসেন দেশটিতে। কিন্তু রঙিন স্বপ্ন নিয়ে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমালেও সেই আশায় গুঁড়েবালি।
আয়-রোজগার তো দূরের কথা, উল্টো থাকা-খাওয়াসহ নানা সমস্যায় পড়েছেন অনেকেই। বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়ায় এসেও নিয়োগকর্তাদের অবহেলায় মাসের পর মাস কর্মহীন আছেন এই শ্রমিকরা। চাকরি পাওয়ার দাবিতে বুধবার স্থানীয় সময় দুপুরে কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে জড়ো হন তারা।
বাংলাদেশের কয়েকটি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় আসার পর দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে অনেককে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শ্রমিকরা। চাকরির পাশাপাশি প্রতারক কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের।
সমস্যা সমাধানে দ্রুতই এগিয়ে আসবে বাংলাদেশ দূতাবাসসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ- এমনটাই আশা ভুক্তভোগীদের।
এদিকে মালয়েশিয়ায় নতুন করে তিনটি খাতে বিদেশি কর্মী নিয়োগের আবেদন অনুমোদন করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
গেল সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) কুয়ালালামপুরের মেদান সেলেরা মাদানিতে অনুষ্ঠিত লেস্তারি নিয়াগা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি। তবে এই তিনটি খাতে শূন্যপদ পূরণের জন্য স্থানীয় যুবকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার শর্ত দেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
এসময় দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী ভি. শিবকুমার এবং উপ-উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সিনেটর সরস্বতী কান্দাসামিও উপস্থিত ছিলেন।
আনোয়ার ইব্রাহিম জানান, নাপিত, টেক্সটাইল ও স্বর্ণকার উপ-খাতে অভিবাসী শ্রমিকদের প্রবেশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। এখন থেকে এই তিন খাতে বিদেশি কর্মী নিয়োগ করতে পারবেন তাদের নিয়োগকর্তারা।
উল্লেখিত খাতের শ্রমিকদের দ্রুত দেশটিতে প্রবেশের বিষয়টি শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিসভায় তোলা হবে বলেও জানান তিনি। এদিকে দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন,
নাপিতের দোকান, স্বর্ণকার ও টেক্সটাইল খাতে প্রায় ১৫ হাজার বিদেশি কর্মী প্রয়োজন। তাই আমাদের চেষ্টা থাকবে এই খাতে দ্রুত বিদেশী কর্মী আনার।
এসব খাতে মূলত স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। তবে নানা সীমাবদ্ধতা থাকায় স্থানীয়দের নিয়োগ দেয়া কঠিন বলে মত দেন নিয়োগকর্তারা। বছরের পর বছর ধরে এই তিনটি খাতে শ্রমিকদের উচ্চ চাহিদা থাকায়, অবশেষে বিদেশি কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত এলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।