জুমবাংলা ডেস্ক : বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদের প্রায় ৫.৯১ বিলিয়ন ডলারের অফশোর সম্পদ রয়েছে। এসব সম্পদের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে এশিয়ায় ট্যাক্স হেভেনে, বাকিটা ইউরোপ ও আমেরিকায়। এই বিপুল সম্পদ বাংলাদেশের মোট জিডিপির প্রায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ।
সম্প্রতি প্রকাশিত অ্যাটলাস অফ অফশোর ওয়ার্ল্ড শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ট্যাক্স অবজারভেটরি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের অফশোর বিনিয়োগের ২০২২ সালের তথ্য দিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
ট্যাক্স হেভেনে বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান স্বল্প কর দিয়ে বা বিনা করে বিনিয়োগ করতে পারেন। আর বিনিয়োগকৃত এই সম্পদকে অফশোর সম্পদ বলা হয়।
যদিও ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বাংলাদেশিদের বিনিয়োগকৃত সম্পদের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন অফশোর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৮ দশমিক ১৪৫ বিলিয়ন ডলার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, না জানিয়ে এই অফশোর বিনিয়োগে শূন্য দশমিক ৫ বিলিয়ন কর পাওয়া যায়নি বলে অনুমান করা যায়।
এতে আরও দেখা গেছে, ট্যাক্স হেভেনে রিয়েল এস্টেট খাতে বাংলাদেশিদের বিনিয়োগ করা মোট অফশোর সম্পদের পরিমাণ শূন্য দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশের জিডিপির শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশ।
রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগের বেশিরভাগই সিঙ্গাপুর ও দুবাইতে। এছাড়া লন্ডন ও প্যারিসে কিছু বিনিয়োগ হয়েছে এ খাতে।
অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্টের (ওসিসিআরপি) সাম্প্রতিক একটি অনুসন্ধানে দেখা গেছে, অন্তত ৩৯৪ জন বাংলাদেশি দুবাইয়ের ৬৪১টি আবাসিক সম্পত্তির মালিক, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২২৫ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন ডলার। সংস্থাটি ২০২২ সাল থেকে এ অনুসন্ধান পরিচালনা করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।