জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি আশ্বস্ত করেছেন যে ব্যাংক একীভূতকরণের প্রক্রিয়ায় আমানতকারীদের কোনো ধরনের ভয় বা উদ্বেগের কারণ নেই। তিনি বলেন, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য ব্যাংকিং খাতকে শক্তিশালী ও টেকসই করা, যেখানে বর্তমান কর্মী এবং আমানতকারীরা লাভবান হবেন।
Table of Contents
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর: একীভূতকরণ নিয়ে জনগণের আশ্বস্তকরণ
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, সরকার প্রথমে এসব সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংককে অধিগ্রহণ করবে এবং এরপর বিদেশি কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে হস্তান্তর করবে। এতে করে ব্যাংকগুলোর কাঠামোগত দুর্বলতা কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “যে ব্যাংকে আছেন, সেখানেই থাকুন।” এই মন্তব্য আমানতকারীদের মধ্যে আস্থা ফেরানোর একটি কৌশল বলে ধরা হচ্ছে।
একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার ধাপসমূহ
ড. মনসুর ব্যাখ্যা করেন, প্রথম ধাপে কিছু ব্যাংক একীভূত করা হবে, পরে পর্যায়ক্রমে আরও ব্যাংক এই প্রক্রিয়ায় আসবে। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো দুর্বল ব্যাংকগুলোর পরিচালন কাঠামো সংস্কার করা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, সরকার টাকা দিয়ে ব্যাংকগুলো পুনর্গঠন করবে এবং এরপর কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে হস্তান্তর করবে।
সন্দেহজনক লেনদেন ও রিপোর্টিং বৃদ্ধি
২০২৩-২৪ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্ট (STR) ছিল ২৭,১৩০টি, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। তবে গভর্নর মনসুর বলেন, এটি লেনদেন বেড়ে যাওয়ার প্রতিফলন নয়, বরং সচেতনতা বৃদ্ধির ফল। এই পর্যবেক্ষণ বিএফআইইউর বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হয়।
অর্থ পাচার প্রসঙ্গে গভর্নরের মন্তব্য
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বিগত সরকারের সময়কালে দেশ থেকে প্রায় ১৮ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। এই অর্থ ফেরত আনতে ৪–৫ বছর সময় লাগতে পারে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে কিছু অর্থ বিদেশে জব্দ করা সম্ভব হয়েছে। এই তথ্যগুলো দেশের আর্থিক নিরাপত্তা বিষয়ে গভীর মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করে।
জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি ও আশ্বাস
দেশের সাধারণ জনগণ ও আমানতকারীরা ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও গভর্নরের বক্তব্যে তারা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। তার ভাষ্য মতে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যাংকিং খাত আরও স্থিতিশীল ও সুশৃঙ্খল হবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও কাঠামোগত উন্নয়ন
বাংলাদেশ ব্যাংক পরিকল্পনা করছে যে ভবিষ্যতে আরও কার্যকর নিয়ন্ত্রক কাঠামো তৈরি করা হবে যাতে ব্যাংক খাতের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়। গভর্নর বলেন, নতুন কাঠামোর আওতায় দক্ষ পরিচালনা বোর্ড, সুশাসন এবং রেগুলেটরি অনুশীলন বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আন্দোলন: গ্রাহক সেবা ও বিদ্যুৎ সরবরাহের নতুন সঙ্কট
FAQs
- বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর কে?
বর্তমানে ড. আহসান এইচ মনসুর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। - ব্যাংক একীভূতকরণ মানে কী?
একীভূতকরণ হলো দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একত্রিত করে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর ব্যাংক গঠনের প্রক্রিয়া। - এই প্রক্রিয়ায় আমানতকারীদের কী কোনো ঝুঁকি রয়েছে?
না, গভর্নরের মতে, এই প্রক্রিয়ায় আমানতকারীদের কোনো ধরনের ঝুঁকি নেই। বরং তারা শক্তিশালী ব্যাংকের অংশ হবেন। - অর্থ পাচার নিয়ে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে কিছু পাচার হওয়া অর্থ বিদেশে জব্দ করা হয়েছে এবং আরও অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।