জুমবাংলা ডেস্ক : চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংকের আমানত কমলেও গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১০.৪৩ শতাংশ আমানত বেড়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সুদের হার ও রেমিট্যান্স-প্রবাহ বাড়ার সুবাদে আমানতের প্রবৃদ্ধি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ফেব্রুয়ারি মাসে মোট আমানত ১৬.৬১ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.৪৩ শতাংশ বেশি, আবার জানুয়ারির ১০.৫৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির তুলনায় কম। তবে গত বছরের একই মাসের ৬.৮৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির তুলনায় এই প্রবৃদ্ধি অনেকটাই বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশ কয়েকটি কারণে আমানতে এই প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অন্যতম কারণ হচ্ছে সম্প্রতি আমানতের সুদহার বাড়ানো। এতে সঞ্চয়ে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। ফলে মানুষ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংকে টাকা রাখতে উৎসাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়া রেমিট্যান্স-প্রবাহ বৃদ্ধিও আমানতের প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশে বৈদেশিক মুদ্রাপ্রবাহ বৃদ্ধির অর্থ হচ্ছে ব্যাংকিংব্যবস্থায় আমানতের জন্য অর্থও বেশি পাওয়া।
ব্যাংকিং খাতে আমানত ক্রমেই বাড়ছে
আমানতের প্রবৃদ্ধি টানা তিন মাস ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ব্যাংক খাতে আমানতে প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে ১১.৪ শতাংশে পৌঁছায়, যা ২৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল।
এর আগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে করোনা মহামারির বৈশ্বিক লকডাউন ও সে কারণে হওয়া অর্থনৈতিক গতিমন্থরতার প্রভাবে আমানত প্রবৃদ্ধির হার ১১.২৬ শতাংশে পৌঁছেছিল।
আর্থিক অবস্থা ভালো-খারাপ যেমনই হোক, সব ব্যাংকই আমানতের সুদহার বাড়িয়েছে। প্রতিষ্ঠিত আমানতে ব্যাংকগুলো ৯ থেকে ১০ শতাংশ সুদহার দিলেও খারাপ অবস্থায় থাকা কিছু ব্যাংক আমানত টানতে ১২ শতাংশ পর্যন্ত চড়া সুদহার দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সুদহার বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করার ফলেও ব্যাংকিং খাতে আমানতের সুদহার কিছুটা বেড়েছে। ব্যাংকাররা বলছেন, সুদহারের সীমা তুলে নেওয়ার ফলে ব্যাংকগুলো আমানতে বেশি সুদ দিতে পারছে।
এতে সঞ্চয়কারীরা ব্যাংকে টাকা রাখতে আগ্রহী হচ্ছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৭.৬১ শতাংশ বেশি।
আমানত বাড়ার প্রভাব পড়েছে মানুষের হাতে থাকা টাকায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।