জুমবাংলা ডেস্ক : নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রবাসী আয়ের ডলার দেশে আনতে সরকারি প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংকগুলো নিজ উদ্যোগে অতিরিক্ত আড়াই শতাংশ টাকা দিয়ে আসছিল।
এখন ডলারের দাম নির্ধারণে নতুন পদ্ধতি চালু হওয়ায় ব্যাংকগুলো তাদের প্রণোদনা বন্ধ করে দিয়েছে। প্রবাসী আয় বর্তমানে প্রতি ডলার ১২০ টাকা। ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত প্রণোদনা অব্যাহত রাখলে ডলারের দাম ১২৩ টাকায় উঠত।
বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার (০৯ মে) ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণে ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতি চালুর ঘোষণা দেয়। এতে ডলারের মধ্যবর্তী দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। আগে ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম ছিল ১১০ টাকা।
এরফলে বিদেশি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলো প্রবাসী আয়ের ডলারের দাম ১১৭ থেকে ১১৭ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে স্থির করেছে। এর সঙ্গে সরকারের আড়াই শতাংশ পাশাপাশি ব্যাংকের সমপরিমাণ প্রণোদনা যুক্ত করলে ডলারের দাম হতো ১২৩ টাকা।
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) যৌথ সভায় সরকারের পাশাপাশি নিজেদের উদ্যোগে প্রবাসী আয়ের ওপর আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এর পর থেকে সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের কিছু ব্যাংক বাড়তি প্রণোদনা দেওয়া শুরু করে। তবে এতেও প্রবাসী আয়ে খুব বেশি উন্নতি হয়নি।
গত এপ্রিল মাসে দেশে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার প্রবাসী আয় আসে। এর আগে মার্চে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার ও ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ‘ডলারের দামের ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতি চালু হওয়ায় ব্যাংকগুলোকে নিজেদের দেওয়া প্রণোদনা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সরকারি প্রণোদনা বহাল থাকবে। এই বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।’
বাফেদা চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, ‘নতুন পদ্ধতি চালু হওয়ার পর আমরা প্রণোদনা দেওয়া বন্ধ করেছি। কারণ, সরকারি প্রণোদনা পেলেই ডলারের দাম ১২০ টাকার কাছাকাছি হয়ে যায়। অন্য ব্যাংকগুলো এই বিষয়ে নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নেবে।’
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.