বিবাহবিচ্ছেদের দিকে যাচ্ছেন বারাক ও মিশেল ওবামা?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বারাক ওবামার সঙ্গে কোনও অনুষ্ঠানে দেখা যাবে না প্রাক্তন ফার্স্ট লেডিকে। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং ফার্স্ট লেডিরা উপস্থিত থাকেন। কোনও স্পষ্ট নিয়ম না থাকলেও এই প্রথা চলে আসছে বছর বছর ধরে।

তবে এবার ট্রাম্পের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না সে দেশের প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা। তাঁর যোগ না দেওয়ার বিষয়টি ইতিমধ্যে বারাক ও মিশেল ওবামার দফতর থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে মিশেল না থাকলেও বারাক ওবামা অবশ্যই থাকছে অনুষ্ঠানে। মিশেল না আসায় এই প্রথম ঐতিহ্যে ছেদ পড়বে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টরা সর্বদা সস্ত্রীক নতুন প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণে উপস্থিত থাকেন।

প্রসঙ্গত, প্রথা মেনে ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ও ফার্স্ট লেডি লরা বুশ এবং বিল ক্লিনটন ও হিলারি ক্লিনটনও। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন চর্চা চলছে বারাক এবং মিশেলের সম্পর্ক নিয়ে। অনেকেই মনে করছেন বিগত কয়েক মাস ধরে আলাদা থাকছেন তাঁরা। দুজনের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। সেই কারণে একসঙ্গে কোনও অনুষ্ঠানেও তাঁদের দেখা যাচ্ছে না। যদিও বিষয়টি পুরোপুরি জল্পনার জায়গাতেই রয়েছে।

গত সপ্তাহে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের শেষকৃত্যেও যাননি মিশেল। বারাক গিয়েছিলেন। এবং সেখানে তাঁকে ট্রাম্পের সঙ্গে হাসাহাসি করতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সেখানেও মিশেল ওবামার অনুপস্থিতিকে ঘিরে নানা গুঞ্জন ছড়াতে থাকে। এবার ট্রাম্পের শপথগ্রহণে তাঁর না থাকার কথা জানাজানি হওয়ার পর থেকে জোরালো হয়েছে গুঞ্জন। তাহলে কি সম্পর্কে ফাটল ধরেছে ওবামা দম্পতির? তাঁরা কি বিচ্ছিন্ন হতে চলেছেন? ১৯৮৯ সালে শিকাগোতে একটি আইন সংস্থায় কাজ করার সময় একে অপরকে ডেট করা শুরু করেন বারাক এবং মিশেল। ১৯৯২ সালে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের দুই মেয়েও রয়েছে মালিয়া এবং সাশা ওবামা। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ অনেক ব্যবহারকারী লিখেছেন- ‘মনে হচ্ছে বারাক এবং মিশেল ওবামা বিবাহবিচ্ছেদের দিকে যাচ্ছেন।’

কেউ কেউ বলছেন বারাকের তার স্ত্রীর হতাশার দিকে আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত।’ যদিও বিবাহবিচ্ছেদ জল্পনায় সিলমোহর দিতে নারাজ মিশেল ওবামার ঘনিষ্ঠ বৃত্ত। তাঁদের দাবি, এই মুহূর্তে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে ছুটি কাটাচ্ছেন তিনি। ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে তাঁর পা না রাখার পিছনে একটাই কারণ।

সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস