গত ৮ জুলাই আয়ারল্যান্ডের মরিন স্লাউ (৫৮) পরিবারকে বলেছিলেন, তিনি লিথুনিয়ায় এক বন্ধুর কাছে বেড়াতে যাচ্ছেন। এরপর সেই নারী সুইজারল্যান্ডে গিয়ে আত্মহত্যা করেন।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, মরিনের দুজন বন্ধু জানতেন তিনি সুইজারল্যান্ডে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করতে যাচ্ছেন। এর কয়েকদিনের মধ্যে তার মেয়ে মেগান রয়্যাল মায়ের একজন বন্ধুর কাছ থেকে সত্যিকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে পারেন।
আইরিশ ইন্ডিপেনডেন্টকে রয়্যাল বলেন, বুধবার রাতে তার (মরিন স্লাউ) এক কাছের বন্ধু আমাকে একটি বার্তা পাঠান। তখন রাত সম্ভবত ১০টা। আমি আমার বাচ্চাকে নিয়ে শুয়ে ছিলাম। তিনি আমাকে শুধু বললেন, তোমার মা সুইজারল্যান্ডে আছেন।
এরপর তিনি বললেন, তোমার জানার অধিকার আছে। আমি বিষয়টি গোপন রাখব বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তিনি (মরিন স্লাউ) সেখানে অবস্থান করছেন এবং স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করতে চান।
একথা জানার পর মেগান রয়্যাল সঙ্গে সঙ্গে তার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার বাবা সুইজারল্যান্ডে অবস্থানরত মায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। এর পরদিন রয়্যাল হোয়াটসঅ্যাপে একটি বার্তা পান। সেখানে জানানো হয়, তার মা আর নেই।
পরে জানা যায়, বার্তাটি সুইজারল্যান্ডের স্বেচ্ছায় মৃত্যুতে সহায়তা করা একটি অলাভজনক সংস্থা পেগাসোসের কাছ থেকে এসেছিল। রয়্যাল জানতে পারেন, স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করতে তার মা একটি আবেদন জমা দিয়েছিলেন, যার জন্য খরচ হয়েছিল প্রায় ২১ হাজার ৪০০ ডলার।
মেগান রয়্যাল বলেন, সবচেয়ে খারাপ দিক হলো, আমি শুধু হোয়াটসঅ্যাপে বার্তাই পাইনি। বরং তারা জানিয়েছে, আমার মায়ের অস্থি ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে ডাকযোগে পৌঁছে দেওয়া হবে। এমন খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বসে পড়লাম এবং কান্না শুরু করে দিলাম। মনে হলো আমার পৃথিবী শেষ হয়ে গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।