স্পোর্টস ডেস্ক : লিওনেল মেসি প্রায় দেড় যুগ বয়েছেন এই ভার। বার্সেলোনার ট্রফি ক্যাবিনেট ভরিয়ে দেওয়া আর্জেন্টাইন অধিনায়ক ২০২১ সালে বাধ্য হয়েছেন ক্লাব ছাড়তে। সে ভার বইতে আর্থিক ঝামেলার মাঝেও রবের্ত লেভানদফস্কি, রাফিনিয়া, জোয়েও ফেলিক্সের মতো ফরোয়ার্ডদের পেছনে প্রচুর অর্থ ঢেলেছে বার্সেলোনা।
কিন্তু দিন শেষে ক্লাবটিকে উদ্ধার করতে হচ্ছে একাডেমির খেলোয়াড়দেরই, নির্দিষ্ট করে বললে ১৬ বছর বয়সী লামিন ইয়ামালকে। মায়োর্কার বিপক্ষে মেসিকে মনে করিয়ে দেওয়া এক গোলে দলকে জয় এনে দিয়েছেন এই কিশোর।
একসময় বার্সেলোনা উপায় না পেলে মেসির ঘাড়েই সব দায়িত্ব দিয়ে বসত। জাদুকর কীভাবে না কীভাবে যেন ঠিকই দলকে মুহূর্তের জাদুতে উদ্ধার করতেন কাতালান ক্লাবকে। অবশ্য ইয়ামাল এ দিকে থেকে যেন মেসিকেও ছাড়িয়ে গেছেন।
মেসি ক্লাবের জার্সিতে প্রথম খেলেছেন ১৬ বছর বয়সে, তবে মূল একাদশে নিয়মিত হতে হতে ১৮ বছর পার হয়েছিল তাঁর। কিন্তু ১৬ বছর বয়স থেকেই একাদশে নিয়মিত ইয়ামাল। শুধু নিয়মিতই নন, লেভানদফস্কি-রাফিনিয়াদের ফেলে তাঁর দিকেই চেয়ে থাকে বার্সেলোনা।
অবশ্য ইয়ামাল যা দেখাচ্ছেন, তাতে এমনটাই স্বাভাবিক। গতকাল ঘরের মাঠে মায়োর্কার বিপক্ষে একের পর এক আক্রমণ যখন ব্যর্থ হচ্ছিল তখনই চোখ কপালে তোলা গোল। ৭৩ মিনিটে বদলি নামা লেভানদফস্কির সঙ্গে ওয়ান-টু করে বল পেলেন বক্সের বাইরে।
বল নিয়ে প্রথমে গোল থেকে দূরে যাওয়ার ভান করে সেঁটে থাকা ডিফেন্ডারকে ভুল দিকে পাঠালেন। এরপর ভেতরে ঢুকে বাঁকানো এক শট নিলেন। ক্রসবার ঘেঁষে যাওয়া শট ঠেকানোর কোনো উপায় ছিল না মায়োর্কা কিপারের।
প্রথমার্ধেই এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল বার্সেলোনা। ২০ মিনিটে রাফিনিয়াকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার। ভিএআর পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিলে এগিয়ে যান গুন্দোয়ান। কিন্তু তাঁর দুর্বল শট ঠেকাতে কষ্ট হয়নি প্রেদ্রাগ রায়কোভিচ। বিরতির পর ভেদাত মুরিকির হেড ক্রসবারে লাগায় বেঁচে যায় বার্সেলোনা। এরপর ইয়ামালও একবার পোস্টে লাগিয়েছেন। বাকি সময়ে কোনো দল কোনো গোল করতে পারেনি। তাই লিগে দুইয়ে উঠে এসেছে বার্সেলোনা। আজ নিজেদের ম্যাচে জিরোনা জিততে না পারলেই এখন দুইয়ে জায়গা পাকা হবে বার্সার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।