জুমবাংলা ডেস্ক : ‘বাড়িতে কেউ আছেন? দরজা খোলেন। বাইরে আসেন। আমি আপনাদের মন্ত্রী। আপনাদের জন্য ঈদ উপহার নিয়ে এসেছি।’
ফরিদপুর-১ আসনের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে এভাবেই ছিন্নমূল, বয়স্ক ও গরিব ঘুমন্ত মানুষকে ঈদ সামগ্রী উপহার দিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। মন্ত্রীর হাত থেকে ঈদ সামগ্রী পেয়ে খুশি অসহায় এসব মানুষ।
আবেগজড়িত কণ্ঠে তারা বলেন, গভীর রাতে এভাবে কেউ আমাদের ডেকে ঈদ সামগ্রী দেয়নি। এতে আমরা খুশি ও আনন্দিত।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দিবাগত গভীর রাতে মধুখালী উপজেলার কালপোহা, মেছরদিয়া, দাড়িরপাড়, উলুহাটসহ বিভিন্ন স্থানে পথে-ঘাটে ও বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে গরিব অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার শাড়ি, লুঙ্গি, সেমাই, চিনি, দুধ, চাল, ডাল ও তেল বিতরণ করেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। এছাড়াও তিনি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার গরিব অসহায় মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ করেন।
উপজেলার কালপোহা এলাকার বাসিন্দা মো. মোমরেজ শেখ বলেন, রাত সাড়ে দশটার দিকে রাস্তা দিয়ে হেঁটে বাড়ি যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে গাড়ি থামিয়ে ঈদ উপহার দিলেন মন্ত্রী। আমার ৬০ বছরের জীবনে এই প্রথম এভাবে ঈদ উপহার পেলাম। ঈদের দিনে নতুন লুঙ্গি পরে নামাজ পড়তে পারবো।
ঈদ সামগ্রী পাওয়া মেছরদিয়া আশ্রয় প্রকল্পের বাসিন্দা মো. মুরাদ হোসেন বলেন, মন্ত্রী আমাদের বাড়িতে এসে দরজায় কড়া নেড়ে হাতে ঈদ সামগ্রী তুলে দেন। সবাই অবাক হয়ে যাই। এভাবে কেউ কোনো দিন ঈদের উপহার দেননি। এতে আমরা খুবই খুশি।
আরেক বাসিন্দা নাজমা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, রাত ১১টার দিকে মন্ত্রী এসে হঠাৎ করে সবার দরজায় কড়া নেড়ে ঘুম থেকে উঠিয়ে শাড়ি, লুঙ্গি, চিনি, সেমাই দিয়ে গেছেন। আমরাতো ভাবতেই পারিনি যে কাউকে না জানিয়ে মন্ত্রী এসে আমাদের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেবেন। এতে আমরা খুবই খুশি এবং মন্ত্রীকে ধন্যবাদ।
এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান এমপি জাগো নিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা উন্নয়নের পাশাপাশি অসহায় গরিব মানুষদের ঘর দিয়েছেন, জমি দিয়েছেন। সাধারণ মানুষ তার প্রতি এতটাই কৃতজ্ঞ তাদের যে অনুভূতি দেখে সত্যিই আমি অভিভূত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার হিসেবে বস্ত্র ও সেমাই, চিনি-দুধসহ ঈদ সামগ্রী বিতরণ করি। সেগুলো পেয়ে তারা আনন্দিত, অত্যন্ত খুশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।