জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুরে নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর একটি বাড়ি থেকে সাত বছর বয়সী এক শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে স্থানীয় লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে। বুধবার সন্ধ্যায় সদরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, গণপিটুনিতে মারা গেছেন এক ব্যক্তি (৫৫)। পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। তবে জনরোষের কারণে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
নিহত ওই মেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। গণপিটুনিতে নিহত ব্যক্তি ওই শিশুটির স্বজন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শিশুটি গত মঙ্গলবার বিকাল থেকে নিখোঁজ ছিল। শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ওই ব্যক্তি তার বসতঘরের বারান্দার বা পাশের কক্ষের মাচার নিচে বস্তার মধ্যে শিশুটির লাশ লুকিয়ে রাখে। এর আগেও ওই ব্যক্তি ধর্ষণের অভিযোগে জেল খেটেছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, সন্দেহ হলে বুধবার বিকালে ওই ব্যক্তির ঘর তল্লাশি করে পুলিশ। এ সময় ঘরের বারান্দা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। গলায় বিদ্যুতের তার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে আমাদের ধারণা। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
খবর পেয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আবদুল জলিল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ওসি বলেন, হত্যার আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা, তা মেডিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যবে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।