আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় এক ব্যক্তির বাড়ির ডিপ ফ্রিজে কুকুর, বিড়াল এবং সাপসহ প্রায় দুই শ প্রাণীর মৃতদেহ পাওয়ার পর তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি ৪৩ বছর বয়সী মাইকেল প্যাট্রিক টারল্যান্ড পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, কিছু প্রাণীকে জীবিত থাকা অবস্থায়ই ডিপ ফ্রিজে ভরে রেখেছিলেন তিনি। মোহাভে কাউন্টি শেরিফের অফিস একথা জানিয়েছে। ফ্রিজে পাওয়া মোট প্রাণীর দেহের সংখ্যা ১৮৩টি।
প্যাট্রিক টারল্যান্ড কেন এ কাজ করেছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তার বিরুদ্ধে পশুর ওপর নিষ্ঠুরতার ৯৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
শেরিফের মুখপাত্র অ্যানিটা মর্টেনসেন বলেছেন, ঘটনাস্থল থেকে তোলা ছবিগুলো ‘ন্যাক্কারজনক এবং হৃদয় বিদারক’। পুলিশ এখন টারল্যান্ডের স্ত্রী ব্রুকলিন বেকের খোঁজ করছে।
এক এলাকাবাসীর কাছ থেকে পুলিশ একটি তথ্য পাওয়ার পরে টারল্যান্ডকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ব্যক্তি পুলিশকে বলেছিলেন, তিনি বংশবৃদ্ধির জন্য কিছু সাপ টারল্যান্ডের কাছে রেখেছিলেন। কিন্তু কয়েক মাস পরে তিনি লাপাত্তা হয়ে যান এবং তিনি আর সাপগুলো ফিরে পাননি।
মহিলাটি পুলিশকে বলেছেন, টারল্যান্ড এবং তার স্ত্রী বাড়িটি থেকে চলে যাওয়ার পরে ওই সম্পত্তির মালিক তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি বলেন, মালিক ফ্ল্যাটটি পরিষ্কার করতে গিয়ে গ্যারেজে অনেক মৃত প্রাণী ভর্তি একটি ডিপ ফ্রিজ পান। এর মধ্যে তার রেখে যাওয়া কিছু সাপও ছিল।
পুলিশ বলেছে, হিমায়িত প্রাণীগুলোর মধ্যে আরো ছিল কচ্ছপ, টিকটিকি, পাখি, ইঁদুর ও খরগোশ। দশ দিন পরে পুলিশ টারল্যান্ডের বাড়িটিতে ফিরে আসার খবর পেয়ে গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।