জুমবাংলা ডেস্ক : বরিশালে একটি হিমাগারে আড়াই লাখ পিস হাঁস ও মুরগির ডিমের মজুত পাওয়া গেছে। যে হিমাগারে এসব ডিম মিলেছে সেটির নেই কোনো লাইসেন্স। অবৈধভাবে ডিম মজুত রাখার অপরাধে ছয় ব্যবসায়ী ও হিমাগার মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ডিম বিক্রির জন্য তিন দিন থেকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের।
বুধবার দুপুর ১টার দিকে নগরের নিউ হাটখোলা এলাকার এ আর খান কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালিয়ে এসব ডিম পায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইন্দ্রানী দাস।
জরিমানা দেওয়া ডিমের পাইকারি বিক্রেতারা হলেন- ফারুক হাওলাদার, ইমাদুল আকন, শহীদুল ইসলাম, মো. মুনসুর ও মো. হাবিব। ভোক্তা অধিকারের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুমি রানী মিত্র জানান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় এবং বরিশাল জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত যৌথভাবে নগরীর নিউ হাটখোলা এলাকায় এ আর খান কোল্ড স্টোরেজে অভিযান পরিচালনা করেন। তারা ওই কোল্ড স্টোরেজে দুই থেকে আড়াই লাখ হাঁস ও মুরগির ডিম মজুদ পেয়েছেন। পরে সেখানকার ডিম মজুতকারী পাইকারি বিক্রেতাদের খবর দেওয়া হয়।
তবে ডিমের পাইকারি বিক্রেতারা এসে কালোবাজারে বিক্রি কিংবা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির জন্য মজুত করেননি বলে দাবি করেছেন। তবুও ভোক্তা অধিকার আইনে ছয় বিক্রেতাকে পাঁচ হাজার করে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া হাঁসের ডিম সাত দিন ও মুরগি ডিম তিন দিনের মধ্যে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে কোল্ড স্টোরেজের লাইসেন্স না থাকায় বরিশাল জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. শাহরুখ আলম শান্তনু ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।