বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উন্নয়নকাজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুদকের মামলায় বেরোবির সাবেক ভিসি ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ উপাচার্য ছিলেন। তিনি ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে গত ১৮ জুন সাবেক দুই উপচার্য কলিমউল্লাহ এবং এ কে এম নূর-উন-নবীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করে দুদক। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদে অধ্যাপক এ কে এম নূর-উন-নবী দায়িত্ব পালন করেন ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত।
ড. কলিমউল্লাহর বিরুদ্ধে বিধিবহির্ভূতভাবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিতি, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির অভিযোগ আছে। যদিও তিনি বরাবরই তা অস্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার ১১১টি দুর্নীতির ৭৯০ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বৃহৎ সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদ।
২০১৯ সালে শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশ চন্দ্র রায় ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমানের সই করা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পাঠানো সাবেক এ উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার ৪৫টি অভিযোগ করা হয়।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রী হল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটসহ স্বাধীনতার স্মারক নির্মাণকাজেও সাবেক এ উপাচার্যের অনিয়মের সত্যতা পায় ইউজিসির পৃথক তদন্ত কমিটি। এজন্য উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে ওই কমিটির প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।